বন্ধুত্বের মধ্যে কোনো ভেদরেখা নেই

ফরিদপুর বন্ধুসভার পাঠের আসরছবি: বন্ধুসভা

বন্ধুত্বের মধ্যে কোনো ভেদরেখা নেই। বন্ধুসভায় সবাই সমান, কেউ কারও ওপরে নয় কিংবা নয় কারও নিচে। প্রথম আলো বন্ধুসভার সংশোধিত গঠনতন্ত্র নিয়ে ফরিদপুর বন্ধুসভার পাঠচক্রের আসরে এ কথা বলেন বক্তারা। ৯ মে বিকেলে স্থানীয় একটি সংবাদপত্র কার্যালয়ে এটি অনুষ্ঠিত হয়।

পাঠচক্রে গঠনতন্ত্রের প্রতিটি ধারা নিয়ে বিশদ আলোচনা করেন বন্ধুরা। বন্ধুসভার গঠনতন্ত্রের নাম, পরিচিতি, লোগো ও প্রতীকের ব্যাখ্যা, স্থানীয় বন্ধুসভার প্রতীক, দাপ্তরিক ভাষা, সংগঠন সঙ্গী এবং দায়িত্বের ভারসাম্যসহ নানা বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

‘ও বন্ধু সব বন্ধু/ আমরা বন্ধু হয়েছি সবাই/ সুন্দর একটি বাংলাদেশ/ আমরা গড়তে চাই’—বন্ধুসভার সংগঠন সংগীত পরিবেশন করেন বন্ধু কস্তুরি বালা।

সহসভাপতি রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘অন্যান্য সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে বন্ধুসভার পার্থক্য হচ্ছে—এখানে সব বন্ধুই সমান। এ কারণেই আজ যিনি সভাপতি, কাল তিনি নির্বাহী সদস্য; আজ যিনি সাধারণ সম্পাদক, কাল তিনি কোষাধ্যক্ষ। সব বন্ধুই বন্ধুর বিপদে পাশে দাঁড়াবেন। দীর্ঘকাল একই পদ আঁকড়ে থাকার যে প্রবণতা, সেই সুযোগ এখানে নেই।’

রফিকুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আমরা আমাদের স্বেচ্ছাশ্রম ও নিজের অর্থ দিয়ে সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়াই। বন্ধুসভা প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে নিজেদের সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে পারি।’

ফরিদপুর বন্ধুসভার পাঠের আসর।

সুজিত কুমার দাস বন্ধুসভার সদস্য সংখ্যা বাড়ানোর বিষয়ে প্রস্তাব দিয়ে বলেন, শহরের কলেজগুলোতে ব্যানার টানানোর পাশাপাশি জনসংযোগ বাড়াতে হবে।

মাফিকুল ইসলাম ক্রীড়া সম্পাদক শ্যামল মন্ডলকে একটি ফুটবল ম্যাচ আয়োজনের প্রস্তাব দেন। ম্যাচ উপলক্ষে বন্ধুদের নামসহ জার্সি তৈরিরও কথা ওঠে আসে।

পাঠচক্র শেষে সভাপতি লক্ষ্মণ চন্দ্র মন্ডল উপস্থিত বন্ধুদের আপ্যায়নের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মানিক কুন্ডু, বাধন পাল, সুব্রত পাল, শুভ বিশ্বাস, মিঠুন দাস, সুমিত কুমার বসু প্রমুখ।

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ফরিদপুর বন্ধুসভা