জীবনকে সমৃদ্ধ করার পথ দেখায় ‘ইট দ্যাট ফ্রগ’

কানাডীয়-মার্কিন লেখক ব্রায়ান ট্রেসি রচিত ‘ইট দ্যাট ফ্রগ’ একটি আত্মোন্নয়নমূলক বই। বইটি নিয়ে পাঠচক্র করে জাবি বন্ধুসভা। গত ২৮ এপ্রিল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির ১০ নম্বর কক্ষে এটি অনুষ্ঠিত হয়।

বই নিয়ে আলোচনা করেন বইমেলা সম্পাদক মারিয়া মুরাদ। তিনি বলেন, ‘“ইট দ্যাট ফ্রগ” একটি মেটাফরিক্যাল টার্ম। যার অর্থ দাঁড়ায় সকালের বা দিনের শুরুতে অবশ্যই সবচেয়ে জটিল কাজটি সম্পাদন করা। যদি কাউকে বলা হয় সকালে উঠে ফ্রগ খেতে হবে; তার কাছে মনে হবে, যদি সকালেই কাজটি করে ফেলি, তবে সারা দিন যত কঠিন কাজই আসুক না কেন, এর থেকে বেশি হবে না। বইটি লেখা হয়েছে আপনাকে দেখানোর জন্য কীভাবে খুব দ্রুত পেশাগত জীবনে এগিয়ে যাওয়া যায় এবং একই সঙ্গে নিজের ব্যক্তিগত জীবনকে সমৃদ্ধ করা যায়।’

জেন্ডার ও সমতাবিষয়ক সম্পাদক আরুপা রহমান বলেন, ‘আমরা মাঝেমধ্যে খুব বেশি মোটিভেটেড হয়ে এমন দীর্ঘ একটি লক্ষ্য নির্ধারণ করে ফেলি, যেটা পরবর্তী সময়ে সম্পাদন করতে আর আগ্রহ পাই না। তাই লক্ষ্য বেছে নিতে হবে ছোটখাটো। সেটা এক দিনের হলেও হবে, তবে পূরণ হওয়া চাই।’

পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক পারভেজ মোশাররফ বলেন, ‘নিজের মধ্যে আমরা সহজে পরিবর্তন আনতে পারি না, ভুলভাবে পরিকল্পনামাফিক কাজ না করার জন্য। এ জন্য একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য রেখে এগোনো শ্রেয়। লেখকের মত অনুযায়ী কাজকে এ, বি, সি, ডি, ই মেথডে অগ্রাধিকার দেওয়া। কাজে নেমে পড়া, আগের রাতেই রুটিন করে ফেলা—দিন কীভাবে কী কী দিয়ে শুরু করতে হবে। আর সেভাবে অন্তত ৮০-৭০ শতাংশ সম্পন্ন করা।’

বইটিতে লেখক নিজের পরিচিত কিছু গণ্যমান্য মানুষের থেকে নেওয়া উপদেশ শুনে সেসব নিজের জীবনে প্রয়োগ করে করে সফল হয়ে আমাদেরও চেয়েছেন সেভাবে সেসবের ব্যবহার করা। এই বইয়ের পৃষ্ঠাগুলোয় রয়েছে ব্রায়ান ট্রেসির আবিষ্কার করা ব্যক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধির ২১টি সূত্র। তিনি দাবি করেন, এই পদ্ধতি ও কলাকৌশলগুলো বাস্তবসম্মত, প্রমাণিত এবং দ্রুত কাজ করে।

সংক্ষেপে বলতে গেলে, ‘ইট দ্যাট ফ্রগ’ আপনাকে দেখাবে কীভাবে আপনি কঠিন ও জটিল কাজগুলোকে অনেক সহজভাবে সাজাতে এবং সম্পন্ন করতে পারেন। তা ছাড়া আপনি যে কাজটি করছেন, সেটাতে একমনে লেগে থাকলে সফলতা আসবেই।

পাঠচক্রে আরও উপস্থিত ছিলেন সভাপতি শেখ হামিম তাজ, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি সম্পাদক আরিত্র গুহসহ অন্য বন্ধুরা।