সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে আনন্দ আড্ডা ও খেলাধুলা

শিশুশিক্ষার্থীদের সঙ্গে বন্ধুরা
ছবি: অদিত আল নাফিউ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে ১৭ মার্চ সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে অর্ধদিনব্যাপী আনন্দ আড্ডা ও খেলাধুলার আয়োজন করেছে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভা। এতে ড্যাফোডিল ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল সায়েন্সের (ডিআইএসএস) ৪৬ জন শিশুশিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।

বিকেলে শিশুশিক্ষার্থীদের পরিচয় পর্বের মধ্য দিয়ে শুরু হয় আনন্দ আড্ডা। তাদের মধ্যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ তুলে ধরতে তাঁর জীবনী নিয়ে আলোচনা করেন সহসভাপতি ফারিহা মাহমুদ। এ সময় বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে শিশুদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বন্ধুরা।

এক বন্ধুকে ঘিরে শিশুশিক্ষার্থীদের উল্লাস
ছবি: অদিত আল নাফিউ

পরে শিক্ষার্থীদের নিয়ে ‘উপস্থিত বক্তৃতা’ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। বিজয়ী হয়েছে আবদুল আহাদ ও মোহাম্মদ ফাহাদ। তাদের তাৎক্ষণিক পুরস্কৃত করা হয়।

এরপরই ডিআইএসএসের শিক্ষার্থীরা বন্ধুদের সঙ্গে ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে চকলেট দৌড়, কানামাছি, গোল্লাছুট ও ফুটবল খেলায় মেতে ওঠে। চকলেট দৌড়ের প্রতিটি চকলেট প্রবাদ বাক্য লেখা একটি কাগজে মোড়ানো থাকে। দৌড় শেষে যার চকলেটের কাগজে যে প্রবাদ বাক্য লেখা থাকে, সেই প্রবাদের ব্যাখ্যা তাকে বুঝিয়ে দেন বন্ধুরা। আর সেই ব্যাখ্যা একে অপরকে জানায় তারা।

ড্যাফোডিল বন্ধুসভার পক্ষ থেকে শিশুদের জন্য বিকেলের নাশতার ব্যবস্থা করা হয়। খেলাধুলা শেষে সবাই একসঙ্গে বসে নাশতা করে। এরপর গানের আড্ডায় মেতে ওঠে সবাই। এর মধ্য দিয়ে শেষ হয় আনন্দ আড্ডার আয়োজন।

শিক্ষার্থীরা বন্ধুদের সঙ্গে ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে বিভিন্ন খেলায় মেতে ওঠে
ছবি: অদিত আল নাফিউ

উপস্থিত ছিলেন ডিআইএসএসের প্রকল্প পরিচালক জাহাঙ্গীর হোসেন এবং কেয়ার গিভার অ্যান্ড সোশ্যাল মোবিলাইজার মো. আবদুল্লাহ। ডিআইএসএসের পক্ষ থেকে জাহাঙ্গীর হোসেন ড্যাফোডিল বন্ধুসভাকে পরবর্তী সময় আরও বড় পরিসরে এমন আনন্দ আড্ডা আয়োজনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘এ ধরনের আয়োজন শিশুদের বিনোদনের পাশাপাশি সহজে শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যম হিসেবে কাজ করে।’

ড্যাফোডিল ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল সায়েন্স মূলত দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে কাজ করে। প্রতিটি শিশুর খাদ্য, শিক্ষা, চিকিৎসা ও বাসস্থান নিশ্চিত করে।

দপ্তর সম্পাদক, ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভা