পৃথিবীর তিন ভাগ জল আর এক ভাগ স্থল। বিশাল এই জলরাশির মধ্যে অধিকাংশজুড়ে আছে সমুদ্র। এই সমুদ্র দেখার স্বাদ ও অনুভব করার ইচ্ছা সব মানুষেরই অল্পবিস্তর জাগে। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা ‘সমুদ্রের স্বাদ’ ছোটগল্পে নীলার মাধ্যমে সেটিই সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
৮ অক্টোবর রাত ১০টায় মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘সমুদ্রের স্বাদ’ ছোটগল্প নিয়ে পাঠচক্রের আসর করে নোয়াখালী বন্ধুসভা। ভার্চ্যুয়াল প্লাটফর্ম গুগল মিট অ্যাপে এটি অনুষ্ঠিত হয়। সঞ্চালনা করেন পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক শাহিদা রেশমি।
পরিচয় পর্বের পর বন্ধুরা গল্পটি নিয়ে আলোচনা করেন। সাংগঠনিক সম্পাদক সানি তামজীদ বলেন, গল্পে মধ্যবিত্ত পরিবারের একটি মেয়ের জীবনের অপূর্ণতা, সমুদ্র দেখার তীব্র ইচ্ছা এবং জীবনের নানা ঘাত-প্রতিঘাতে সেই ইচ্ছা পূরণ না হওয়ার বিষণ্নতার দিকটি প্রকাশ পেয়েছে।
বন্ধু বুশরা করিম বলেন, গল্পটিতে মধ্যবিত্ত জীবনের সীমাবদ্ধতা, স্বপ্নভঙ্গ ও জীবনের স্বাভাবিক স্বাদ না পাওয়ার এক গভীর অনুভূতি ফুটে উঠেছে।
‘সমুদ্রের স্বাদ’ গল্পে লেখক গল্পের মূল কেন্দ্রবিন্দু নীলা মাধ্যমে মধ্যবিত্ত পরিবারের স্বাদ, ইচ্ছা এবং পারিবারিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক দিকগুলো তুলে ধরেছেন।
সাধারণ সম্পাদক মো. শিমুল বলেন, অল্প বয়সে বাবার অকালমৃত্যু, পারিবারিক টানাপোড়েন, সামাজিক অবকাঠামো ও অপরিকল্পিত একটা বিবাহবন্ধন যে একটি মেয়ের জীবনের স্বপ্নের মোড় ঘুরিয়ে দেয়, বেঁচে থেকেও মরণ অনুভূতি এনে দেয়, সেটা লেখক গল্পে তুলে ধরেছেন।
পাঠচক্র শেষে সাংগঠনিক সম্পাদক সানি তামজীদ প্রথম আলোর আসন্ন ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে একটা ভালো কাজ করার পরিকল্পনা নিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে আলোচনা করেন। এ সময় আরও যুক্ত ছিলেন সহসভাপতি জেরীন ফাহমিদা, দুর্যোগ ও ত্রাণ সম্পাদক সাহেদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য ও ক্রীড়া সম্পাদক নজরুল ইসলাম, বন্ধু ফাতেকুর বোরহান ও সামিনুর রহমানসহ অন্যরা।
পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক, নোয়াখালী বন্ধুসভা