জীবনানন্দ দাশের ‘রূপসী বাংলা’ কাব্যগ্রন্থ নিয়ে পাঠচক্র

ড্যাফোডিল বন্ধুসভার পাঠচক্রের আসর
ছবি: অনিক ভূষণ সাহা

‘আবার আসিব ফিরে ধানসিঁড়িটির তীরে—এই বাংলায়
হয়তো মানুষ নয়—হয়তো বা শঙ্খচিল শালিকের বেশে।’

কবি জীবনানন্দ দাশ আমাদের মাঝে নেই। তবু তিনি বারবার ফিরে আসেন শঙ্খচিল সেজে, কখনোবা শালিকের বেশে অথবা ভোরের কাক হয়ে, কিংবা গ্রামবাংলার প্রতিচ্ছবি হয়ে। জীবনানন্দ দাশের প্রতিটি কবিতার শব্দই যেন তাঁর বারবার ফিরে আসার ইঙ্গিত বহন করে। তিনি সশরীর না ফিরে এলেও কবিতার প্রতিটি শব্দের মাধ্যমে বারবার ফিরে আসেন বাংলার প্রত্যেক মানুষের কাছে।

২৪ আগস্ট বেলা আড়াইটা। মেঘলা আকাশ। ক্যাম্পাসজুড়ে ঠান্ডা বাতাসের ছড়াছড়ি। চমৎকার এক পরিবেশ! একপশলা বৃষ্টিও ঝরেছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সবুজ ক্যাম্পাসে। এমন পরিবেশের মধ্যেই ক্যাম্পাসের নলেজ ভ্যালিতে শুরু হলো জীবনানন্দ দাশের ‘রূপসী বাংলা’ কাব্যগ্রন্থ নিয়ে ড্যাফোডিল বন্ধুসভার পাঠচক্র।

সাংস্কৃতিক সম্পাদক জান্নাতুল মলির সঞ্চালনায় শুরুতেই পাঠচক্রের বিষয়বস্তু এবং এর গুরুত্ব নিয়ে বিস্তর আলোচনা করেন সঞ্চালক নিজে। আলোচনা শেষে জীবনানন্দ দাশের লেখা ‘সেই দিন এই মাঠ’ কবিতার কিছু অংশ আবৃত্তি করেন তিনি।

পাঠচক্র শেষে বন্ধু আড্ডা
ছবি: অনিক ভূষণ সাহা

কবিতাটি জীবনানন্দ দাশের লেখা ‘রূপসী বাংলা’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত। এই গ্রন্থের প্রতিটি কবিতায় কবির স্বাতন্ত্র্যতা বেশ লক্ষণীয়। তবে তাঁর জীবদ্দশায় এই গ্রন্থের একটি কবিতাও প্রকাশিত হয়নি। ১৯৫৭ সালে সংকলনটি প্রথম প্রকাশিত হয়, যা পরবর্তী সময়ে মুক্তিযুদ্ধের সময় কাব্যের প্রতিটি কবিতা বাঙালিদের অনুপ্রাণিত করেছে। বলছিলেন দপ্তর সম্পাদক আদিবা জামান।

পাঠচক্র শেষে অনুষ্ঠিত হয় বন্ধু আড্ডা। উপস্থিত ছিলেন সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজউদ্দৌলা লাবু, বর্তমান সভাপতি নাজমুল ইসলাম, সহসভাপতি রিয়ান আহমেদ, ফারিহা মাহমুদ, আক্তারুজ্জামান সিদ্দীকী, অর্থ সম্পাদক শাহরিয়ার লাম, সহসাংগঠনিক সম্পাদক মানসি মৌ, ম্যাগাজিন সম্পাদক নাজমুল হাসান, প্রচার সম্পাদক ফারহান ইসরাকসহ অন্যান্য বন্ধুরা।

প্রচার সম্পাদক, ড্যাফোডিল বন্ধুসভা