‘প্রথম আলো গণমানুষের জন্য সত্যিকারের ঘটনাটাই লেখে’

মাদারীপুরে প্রথম আলোর রজতজয়ন্তী উপলক্ষে অনুষ্ঠিত প্রীতিসম্মেলন
ছবি: বন্ধুসভা

রোজ প্রথম আলোর পাতা খুললে যেমন সাফল্যের খবর দেখতে পাই, তেমনি গণমানুষের কষ্টের কথাগুলোও সুন্দর লেখার মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়। পত্রিকাটি নানা চাপ উপেক্ষা করে দিন শেষে গণমানুষের জন্য সত্যিকারের ঘটনাটাই লিখে যায়। তাই প্রথম আলোকে একটি পত্রিকা হিসেবে নয়, এর থেকেও বেশি কিছু মনে করেন পাঠক। এ কারণে ২৫ বছর ধরে পাঠক প্রথম আলোকে তাদের পরিবার মনে করে সঙ্গে রেখেছেন, ভবিষ্যতেও রাখবেন।

মাদারীপুরে প্রথম আলোর রজতজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত প্রীতিসম্মেলনে বক্তারা এভাবেই তাঁদের অভিমত প্রকাশ করেন। ৮ নভেম্বর সন্ধ্যায় মাদারীপুর পৌরসভার সম্মেলনকক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বন্ধুসভা।

ইউনাইটেড ইসলামিয়া সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মহাদেব বর্মণ বলেন, ‘প্রথম আলো শুরু থেকে সব ভালো কাজের সঙ্গে যুক্ত। পত্রিকাটি গণমানুষের জীবনের কথা লেখে। সত্যিকারের কথাগুলো তারা সাহস রেখে বলে। তারা মেধাবী ও তরুণদের উৎসাহ দিতে পুরস্কার দেয়। প্রথম আলোর এমন সব মহৎ কাজ ভবিষ্যতেও অব্যাহত রাখবে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।’

মাদারীপুর লিগাল এইড অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান সমন্বয়কারী খান মোহাম্মদ শহীদ বলেন, ‘প্রথম আলো থেকে পাই না, এমন কিছু নেই। রাষ্ট্রীয় নানা কারণ থাকার পরও প্রথম আলো এখনো যে কথা লেখে, অন্যরা তা সাহসও পায় না। প্রথম আলোয় রাজনীতি, দুর্নীতি, অনুসন্ধানী ও সম্পাদকীয় লেখার ধরনটাই আলাদা। এ ছাড়া রজতজয়ন্তী উপলক্ষে তারা যে বিশেষ লেখকের লেখা প্রকাশ করেছে, তা পড়ে আমি স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ঘ্রাণ পাই।’

মাদারীপুর সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ হিতেন চন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘প্রথম আলোর শুরু থেকে পাঠক আমি। সেই শুরু থেকে দেখেছি, তারা সর্বত্র ন্যায়ের পক্ষে। সত্যকে সত্য বলেছেন। মাদারীপুরের মিরাজ নামের এক যুবক যখন দেশে প্রথম জঙ্গি ধরে, সেই সাহসী মিরাজকে প্রথম আলো পুরস্কৃত করেছেন। যা কিছু ভালো, তার সাথে প্রথম আলো এভাবেই জড়িয়ে আছে।’

প্রথম আলোকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য দেন মাদারীপুর পৌরসভার মেয়র খালিদ হোসেন ইয়াদ। তিনি বলেন, ‘প্রথম আলো তথ্য অনুসন্ধানী কাজটা খুব ভালোভাবে করে। সংবাদের ফলোআপ রাখে। এটাই মূলত সাংবাদিকতা। জনগণের কাছে চাহিদামতো তথ্যটা প্রথম আলো তুলে ধরে। প্রথম আলোকে নিয়ে যে যতই সমালোচনা করে না কেন, প্রথম আলো পড়ে না, এমন লোক নেই।’

মাদারীপুর বন্ধুসভার সহসভাপতি আঞ্জুমান জুলিয়ার সঞ্চালনায় ও অখিল সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন প্রথম আলোর প্রতিনিধি অজয় কুন্ডু। আরও বক্তব্য দেন ফরিদপুর ম্যাটসের সাবেক অধ্যক্ষ গোলাম সরোয়ার, মাদারীপুরের সিভিল সার্জন মুনীর আহমদ খান, প্রথম আলোর এজেন্ট ওমর আলী শিকদার, বাংলাদেশ বেতারের সিনিয়র সাংবাদিক মাহাবুবুর রহমান, বন্ধুসভার উপদেষ্টা সোহেল রানা প্রমুখ।

সবশেষে মাদারীপুর বন্ধুসভার বন্ধু বাঁধন খান, শাহাদাত আকন ও এইচ এম রাসেলের গান পরিবেশনার মাধ্যমে শেষ হয় রজতজয়ন্তী অনুষ্ঠান।