চাঁপাইনবাবগঞ্জ বন্ধুসভার পাঠচক্রে মিসরীয় সভ্যতার ইতিহাস

চাঁপাইনবাবগঞ্জ বন্ধুসভার পাঠচক্রের আসরছবি: বন্ধুসভা

ড. এ কে এম শাহনাওয়াজের প্রাচীন সভ্যতা সিরিজের ‘মিসর’ বই নিয়ে পাঠচক্রের আসর করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ বন্ধুসভা। ৯ অক্টোবর বিকেলে শহরের বন্ধুসভার অফিসে এটি অনুষ্ঠিত হয়।

পাঠচক্রে মূল আলোচনায় পরিবেশ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান বলেন, ‘মিসর সভ্যতা গড়ে উঠেছিল আফ্রিকার উত্তর-পূর্বে নীল নদের তীরে। নীল নদ ছিল মিসরবাসীদের জীবনরেখা। প্রতিবছর নীল নদের বন্যায় জমি উর্বর হতো। ফলে কৃষির উন্নতি ঘটে এবং মানুষ স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে। এই সভ্যতা গড়ে ওঠে প্রায় খ্রিষ্টপূর্ব তিন হাজার বছর আগে এবং স্থায়ী ছিল তিন হাজার বছরের বেশি সময়।’

রাকিবুল হাসান বলেন, ‘মিসরের শাসকদের বলা হতো ফারাউ। তারা নিজেদের ঈশ্বরের প্রতিনিধি মনে করত। তাদের শাসন ছিল ধর্মতান্ত্রিক রাজতন্ত্র। মিসরীয়দের প্রধান জীবিকা ছিল কৃষি, বাণিজ্য ও হস্তশিল্প। গম, যব, খেজুর প্রভৃতি ফসল উৎপাদন করত। তাদের বাণিজ্য নুবিয়া, সিরিয়া, ফিনিশিয়া প্রভৃতি দেশের সঙ্গে বিস্তৃত ছিল।’

স্বাস্থ্য ও ক্রীড়া সম্পাদক সাঈদ মাহমুদ বলেন, ‘মিসরীয়রা ছিল অত্যন্ত জ্ঞানী ও উন্নত চিন্তাধারার মানুষ। তারা আবিষ্কার করেছিল হায়ারোগ্লিফিক লিপি, যা ছিল ছবি বা চিহ্নের মাধ্যমে লেখার এক বিশেষ পদ্ধতি। চিকিৎসা, গণিত, জ্যোতির্বিদ্যা ও স্থাপত্য—সব ক্ষেত্রেই তাদের অবদান অনন্য।’

‘তাদের সবচেয়ে বড় কীর্তি হলো পিরামিড নির্মাণ। বিশেষ করে গিজার খুফুর পিরামিড, যা বিশ্বের সাত আশ্চর্যের একটি। মিসরীয়রা মৃত্যুর পরের জীবনে বিশ্বাস করত। তাই মৃত রাজাদের দেহ সংরক্ষণের জন্য মমি তৈরি করা হতো, যাতে আত্মা আবার ফিরে আসতে পারে। মিসরের বিখ্যাত ফেরাউনদের মধ্যে তুতানখামেন ও রামসেস দ্বিতীয় বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য,’ যোগ করেন সাঈদ মাহমুদ।

পাঠচক্রে উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা আনোয়ার হোসেন, সভাপতি আরাফাত মিলেনিয়াম, সাধারণ সম্পাদক মাসরুফা খাতুন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাফিউল হাসান, সহসাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হাসান, কার্যনির্বাহী সদস্য আহমেদ ওয়ালিদ, বন্ধু রামিজ আহমেদসহ অন্যরা।

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ বন্ধুসভা