‘জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ’ শীর্ষক কর্মসূচির আওতায় শিক্ষা ও চাকরির ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী বিভাগে উপজেলা ও রাজবাড়ী জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ জয়িতা হয়েছেন গোয়ালন্দ বন্ধুসভার নাসরিন আক্তার। এ ছাড়া সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখে নারী বিভাগে উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ জয়িতা হয়েছেন আরিফা বেগম।
আরিফা বেগম উজানচর সাহাজ উদ্দীন মণ্ডল ইনস্টিটিউটের প্রধান শিক্ষক ও গোয়ালন্দ বন্ধুসভার উপদেষ্টা। নাসরিন আক্তার উজানচর দুদুখান পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও গোয়ালন্দ বন্ধুসভার সহসভাপতি। তাঁরা দুজন বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ড ও সংগঠনের সঙ্গে জড়িত আছেন।
আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে ৯ ডিসেম্বর ‘জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ’ শীর্ষক কার্যক্রমের আওতায় তাঁদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। গোয়ালন্দ উপজেলা প্রশাসন ও মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে শ্রেষ্ঠ পাঁচ জয়িতাকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা মুন্সী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নার্গিস পারভীন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা শাহ মো. শরীফ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশরাফুর রহমান, গোয়ালন্দঘাট থানার ওসি স্বপন কুমার মজুমদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল ইসলাম, আবদুল হালিম মিয়া কলেজের অধ্যক্ষ বিলকিস আক্তার প্রমুখ।
শ্রেষ্ঠ জয়িতা অপর তিনজন হলেন ‘নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যোগে জীবন শুরু করেছেন যে নারী’ রিনা বেগম, ‘অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী’ সাহিদা আক্তার এবং ‘সফল জননী নারী’ কমেলা বেগম। তাঁদের ফুল দিয়ে বরণ করে উত্তরীয় পরিয়ে হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেওয়া হয়।
একই দিন রাজবাড়ী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা প্রশাসন, মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তর ও জাতীয় মহিলা সংস্থা কর্তৃক আয়োজিত বেগম রোকেয়া দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে শ্রেষ্ঠ জয়িতাদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে নাসরিন আক্তারকে জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ জয়িতা হিসেবে উত্তরীয় পরিয়ে সম্মাননা ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেওয়া হয়।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মাহাবুর রহমান শেখের সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম শফিকুল মোরশেদ, সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইব্রাহিম, মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক আজমীর হোসেন প্রমুখ।
এর আগে নাসরিন আক্তার সম্প্রতি জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক অনুষ্ঠানে প্রথমে গোয়ালন্দ উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ এবং পরবর্তী সময় তিনি জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক হিসেবে পুরস্কৃত হন।
নাসরিন আক্তার বলেন, ‘দায়িত্ববোধের জায়গায় একজন নারী হিসেবে সমাজ ও দেশের প্রতি যে দায়িত্ব রয়েছে, সেটা জীবনের শুরু থেকে আমি ধারণ করে আসছি। আন্তরিকতা দিয়ে কাজ করলে সব প্রতিকূলতা কাটিয়ে ভালো কিছু করা সম্ভব।’ আরিফা বেগম বলেন, ‘কেউ যদি নিজের জায়গা থেকে সমাজের জন্য কিছু করতে চাই, আন্তরিকতা থাকলে অবশ্যই করা সম্ভব। আমাকে সম্মাননা জানানোয় সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’