‘গণমাধ্যম ও সাংবাদিকেরা দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করেন’

মানববন্ধন করেছে সাংবাদিক সমাজ, ঝালকাঠি প্রেসক্লাব ও প্রথম আলো বন্ধুসভাছবি: বন্ধুসভা

কোনো অভিযোগের তদন্ত ছাড়াই একজন সাংবাদিককে গভীর রাতে বাসা থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া দুঃখজনক। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে সাংবাদিকদের পেশাগত কাজ বন্ধ করা যাবে না। গণমাধ্যম ও সাংবাদিকেরা দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করেন। এই আইন বাতিল করে সাংবাদিকতার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। আজ রোববার ঝালকাঠি প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে আয়োজিত মানববন্ধনে এসব কথা বলেন প্রেসক্লাবের সহসভাপতি আইনজীবী আক্কাস সিকদার।

প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান ও নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামসের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ঝালকাঠিতে মানববন্ধন করেছে সাংবাদিক সমাজ, ঝালকাঠি প্রেসক্লাব ও প্রথম আলো বন্ধুসভা। একই সঙ্গে শামসুজ্জামানের নিঃশর্ত মুক্তি ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানায় তারা।

মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন ঝালকাঠি প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা দুলাল সাহা, প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক কে এম সবুজ, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক রতন আচার্য্য, দৈনিক গাউছিয়ার প্রকাশক অলোক সাহা, ইনডিপেনডেন্ট টিভির প্রতিনিধি রহিম রেজা, এখন টিভির প্রতিনিধি আল আমিন তালুকদার, প্রথম আলোর প্রতিনিধি মাহমুদুর রহমান পারভেজ প্রমুখ।

বীর মুক্তিযোদ্ধা দুলাল সাহা বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বারবার মামলা করে গণমাধ্যমকর্মীদের কণ্ঠ রোধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সম্প্রতি প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, একই পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামান; যুগান্তরের বিশেষ প্রতিনিধি মাহাবুব আলমসহ অনেক সাংবাদিকের নামে এই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে। শামসুজ্জামানকে মধ্যরাতে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের বাক্‌স্বাধীনতা নিশ্চিতে দ্রুত সময়ের মধ্যে বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল ও সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে মুক্তি দিতে হবে।

এনটিভির প্রতিনিধি কে এম সবুজ বলেন, ‘আইনমন্ত্রী একাধিকবার বলেছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হলেই সাংবাদিকদের গ্রেপ্তার করা যাবে না। অথচ আমরা দেখছি, মামলা হওয়ার আগেই সাংবাদিকদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে সরকারকে আমরা বলতে চাই, সাংবাদিকদের কণ্ঠ রোধ করবেন না।’
এখন টিভির প্রতিনিধি আল আমিন তালুকদার বলেন, ‘সারা দেশে এই আইনের মাধ্যমে সাংবাদিকদের নামে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দেওয়া হচ্ছে। এই কালো আইন বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আমরা সাংবাদিকেরা মাঠে থাকব। সাংবাদিক শামসুজ্জামানসহ এ আইনে কারাবন্দী সব সাংবাদিকের দ্রুত মুক্তি দিতে হবে।’

সভাপতি, ঝালকাঠি বন্ধুসভা