শ্রমিকদের স্বাস্থ্যরক্ষা, নিরাপত্তা ও কল্যাণমূলক ব্যবস্থা বিষয়ে আলোচনা

নোবিপ্রবি বন্ধুসভার পাঠচক্র ও আলোচনা সভাসংগৃহীত

পয়লা মে বিশ্বের অনেক দেশেই আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস হিসেবে পালন করা হয়ে থাকে। ১৮৮৬ সালে ব্রিটিশ সমাজসংস্কারক রবার্ট ওয়েনের চিন্তা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেড ইউনিয়নগুলো দিনে আট ঘণ্টা কাজের দাবিতে প্রতিবাদ কর্মসূচি শুরু করে। এই কর্মসূচির সবচেয়ে বড় আন্দোলন হয় পয়লা মে, শিকাগোতে। পরবর্তী সময়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি বিক্ষোভে রূপান্তরিত হয়। বিক্ষোভকারী এবং পুলিশের সংঘর্ষ, হে মার্কেট ম্যাসাকার, আটজনের মৃত্যুদণ্ড ইত্যাদি ঘটনাগুলোর স্মরণে ১৮৮৯ সালে ২০ দেশের সমাজকর্মী, শ্রমিকনেতা ও ট্রেড ইউনিয়নগুলোর এক আন্তর্জাতিক কংগ্রেসে পয়লা মে ‘মে দিবস’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর ১৮৯৩ সালে সার্বিয়ার শ্রমিকেরা কাজের নিম্নমানের পরিবেশ, অল্প বেতন ও দীর্ঘ কর্মঘণ্টার প্রতিবাদে প্রথম মে দিবস র‍্যালি বের করেন।

যদিও পরবর্তী সময়ে আট ঘণ্টা কর্মদিবস করা হয়েছিল। কিন্তু এখনো কি শ্রমিকদের মৌলিক অধিকার পুরোপুরি নিশ্চিত হয়েছে? গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করতে প্রণয়ন করে ‘শ্রম আইন ২০০৬’। কী আছে এই ‘শ্রম আইন ২০০৬’-এ? এর ঠিক প্রয়োগ কি হচ্ছে? আইন লঙ্ঘনের যে বিধান উল্লেখ করা আছে, তা-ই কি বাস্তবায়ন হয় আদৌ? এসব নানা প্রশ্ন-জিজ্ঞাসার উত্তরের খোঁজে ১ মে পাঠচক্র ও আলোচনা সভার আয়োজন করে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) বন্ধুসভা।

“‘বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬’-এর আলোকে শ্রমিকদের স্বাস্থ্যরক্ষা, নিরাপত্তা ও কল্যাণমূলক ব্যবস্থা” শিরোনামে রাত ১০টায় ভার্চ্যুয়াল মাধ্যম গুগল মিটে এই পাঠচক্র অনুষ্ঠিত হয়। এতে শ্রমিকদের অধিকার ও আইন লঙ্ঘনের বিধান সম্পর্কে আলোচনা করেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ও নোবিপ্রবি বন্ধুসভার সাংগঠনিক সম্পাদক সৌরভ খান। আলোচনায় আরও অংশ নেন সভাপতি আবু রায়হান ও সাধারণ সম্পাদক নাহিন সুলতানা।

অনলাইন এই পাঠচক্রে আরও উপস্থিত ছিলেন সহসভাপতি ইসরাত জাহান, প্রচার সম্পাদক আবেদুল হক, পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক নকীবুল হকসহ অন্য বন্ধুরা।

পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক, নোবিপ্রবি বন্ধুসভা