পাঠচক্র জ্ঞানের বিকাশ ঘটাতে সাহায্য করে

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভার পাঠের আসরছবি: বন্ধুসভা

সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় রচিত ‘একুশ বছর বয়সে’‌ উপন্যাস নিয়ে পাঠের আসর করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভা। ৮ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের জাদুঘর প্রাঙ্গণে এটি অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে সবাই চরিত্র বিশ্লেষণ ও উপন্যাস থেকে শিক্ষণীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

বন্ধুদের আলোচনায় উঠে আসে, মধ্যবিত্ত পরিবারের ২১ বছর বয়সী ছেলে নীলু। টিউশনি জীবন; বিলাসী জীবন কাটানোর অদম্য ইচ্ছা আর অভাবের সঙ্গে তার সংগ্রাম আমাদেরকে নিজেদের সঙ্গেই যেন পরিচয় করিয়ে দেয়।

বন্ধু হাফিজা আক্তার বলেন, নীলুর টিউশনির অভিজ্ঞতা, অভাবী জীবন, মাঝেমধ্যে তার ভীষণ অভিমান হয় সবার প্রতি, নিজের প্রতি। কেন তার এই অভাব? কেন সে খালি পকেটে বেকার ঘুরে বেড়ায়? কেন সে-ই? নীলু কল্পনায় দেখে, সে একটি দ্বীপের আবিষ্কারক এবং সেই দ্বীপের নাম দেয় রানি দ্বীপ। সে ওই দ্বীপের পাতার মুকুট পরা রাজা আর রানি তার প্রিয়তমা, যাকে সে পুরো পৃথিবী উৎসর্গ করতে চায়। কিন্তু বেকারত্বের ছোবলে তাকে হারিয়ে ফেলার ভয়ে দিন কাটাতে হয়।

বন্ধু নাহিদা সুলতানা তুলে ধরেন অভাবের মধ্যেও নীলুর প্রাণোচ্ছল জীবনযাপন এবং হার না–মানা সেই যুবকের উদ্যম। আর প্রিয় মানুষের প্রতি সীমাহীন ভালোবাসার প্রকাশ।

পাঠের আসর শেষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভার বন্ধুরা
ছবি: বন্ধুসভা

সাধারণ সম্পাদক আলী আকরাম বলেন, ‘বন্ধুসভায় পাঠচক্র একটি নিয়মিত কার্যক্রম। এটি আমাদের বিশ্বসাহিত্য ও সমসাময়িক বিষয়াবলির বই পড়তে উদ্বুদ্ধ করে। জ্ঞানের বিকাশ ঘটাতে সাহায্য করে। এটি আমাদের এ বছরের প্রথম পাঠচক্র হলেও আশা করছি সময়ের সঙ্গে এর ধারাবাহিকতা চলমান থাকবে।’

পাঠাগার ও পাঠ্যচক্র সম্পাদক তাসলিমা আক্তারের পরিচালনায় এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সহসাংগঠনিক সম্পাদক অনিক সরকার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহনাফ হাসান, দুর্যোগ ও ত্রাণ সম্পাদক মুস্তাফিজুর রহমান, সাংস্কৃতিক সম্পাদক বিনয় সূত্রধর, অর্থ সম্পাদক রাহি, আইসিটি সম্পাদক ফাহমিদা আক্তারসহ অন্যান্য বন্ধুরা।

প্রচার সম্পাদক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভা