গল্লামারী বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে খুলনা বন্ধুসভার শ্রদ্ধাঞ্জলি

গল্লামারী বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে খুলনা বন্ধুসভার শ্রদ্ধাঞ্জলি
ছবি: বন্ধুসভা

আমাদের জাতীয় জীবনের সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ এবং অর্থবহ দিন ১৬ ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের এই দিনে বহু ত্যাগ–তিতিক্ষা আর ধ্বংসলীলা শেষে পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামক একটি স্বাধীন রাষ্ট্র জায়গা করে নেয়। এ বছর বাংলাদেশের বিজয়ের ৫২ বছর পূর্ণ হলো। ভোরের সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে বিজয়ের সেই আনন্দে মেতে ওঠেন খুলনা বন্ধুসভার বন্ধুরা।

শনিবার সকালে শীতের প্রকোপ উপেক্ষা করে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের অংশ হিসেবে জেলার গল্লামারী বধ্যভূমিতে অবস্থিত স্মৃতিসৌধের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বন্ধুরা। এ সময় শহীদদের স্মরণে কিছুক্ষণ নীরবতা পালন করা হয়।

মহান মুক্তিযুদ্ধকে কেন্দ্র করে এক হৃদয়বিদারক ও বীভৎস ইতিহাস আছে এই বধ্যভূমির। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান রেডিও স্টেশনে (গল্লামারী রেডিও সেন্টার) মুক্তিযোদ্ধা ও শান্তিকামী বাঙালিদের ধরে এনে অমানবিক নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যা করে লাশ গল্লামারী নদীতে ফেলে দিত পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। ১৭ ডিসেম্বর খুলনা শত্রুমুক্ত হওয়ার পর গল্লামারী খাল ও এর আশপাশের স্থান থেকে প্রায় পাঁচ ট্রাকভর্তি মানুষের মাথার খুলি ও হাড়গোড় পাওয়া যায়। ধারণা করা হয়, ওই স্থানে আনুমানিক ১৫ হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়।

কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কাজী মাসুদূল আলম, আযম খান সরকারি কমার্স কলেজের সহযোগী অধ্যাপক কবি তারক চাঁদ ঢালী, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক এস এম মিজান মাহমুদ, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক অমিত সরদার, প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক শেখ আল এহসান, খুলনা বন্ধুসভার অর্থ সম্পাদক শেখ হাফিজুর রহমান, জেন্ডার সমতাবিষয়ক সম্পাদক তানিসা আক্তার, মুক্তিযুদ্ধ ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক রীশয়াত রওশন, বইমেলা সম্পাদক শ্রাবন্তী কুণ্ডু, বন্ধু রিশিতা আক্তার, অর্ণব মণ্ডল, অনির্বাণ সরকার প্রমুখ।

সাধারণ সম্পাদক, খুলনা বন্ধুসভা