বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কালজয়ী গল্প ‘বিন্দুর ছেলে’ নিয়ে পাঠচক্রের আসর করেছে মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি বন্ধুসভা। ১৮ এপ্রিল রাতে অনলাইন গুগল মিট অ্যাপে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
সঞ্চালনা করেন পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক সুস্মিতা রিমি। তিনি বলেন, ‘সাহিত্য সমাজের আয়না। পাঠচক্র আমাদের চিন্তার গভীরতা বাড়ায়, আমাদের মনন জগৎকে প্রসারিত করে।’ গল্পের সারাংশ ও সাহিত্য বিশ্লেষণ তুলে ধরেন সুস্মিতা রিমি আরও বলেন, ‘বিন্দুর ছেলে’ কেবল মায়ের ভালোবাসার গাথা নয়, এটি আত্মত্যাগ, নিঃস্বার্থ সম্পর্ক, অভিমান ও মানবিকতার এক অনবদ্য প্রতিচ্ছবি।
স্বাগত বক্তব্যে সভাপতি ঝর্ণা দাশ শরৎচন্দ্রের জীবন ও সাহিত্যধারা নিয়ে বিশ্লেষণ উপস্থাপন করেন। তাঁর কথায় ধ্বনিত হয় লেখকের ব্যক্তিজীবনের অন্তর্লীন যন্ত্রণা আর সমাজসচেতন কলমের নিপুণ ছোঁয়া।
বিন্দুবাসিনী ও তাঁর সন্তানসম অমূল্যর চরিত্রের ভেতরকার গভীরতা ও অনুভূতির টানাপড়েন আলোচকদের মন ছুঁয়ে যায়। মাতৃত্বের আবেগ, সম্পর্কের টানাপড়েন ও চরিত্রগুলোর মনস্তাত্ত্বিক পরিবর্তন পাঠচক্রে উঠে আসে প্রাণবন্ত আলোচনায়।
বন্ধু শাহরিয়ার আলম গল্পটির আবেগঘন দিকগুলো বিশ্লেষণ করে বলেন,অতিরিক্ত মাতৃস্নেহ ও দুঃসহ রাগ—এই দুইয়ের সমীকরণে সম্পর্ক কখনো কখনো জটিলতায় পর্যবসিত হয়।
বন্ধু তারেক মিয়া তুলে ধরেন গল্পটির সমকালীন প্রাসঙ্গিকতা। তাঁর ভাষায়, ‘শরৎচন্দ্রের গল্পে দারিদ্র্যের কঠিন বাস্তবতা যে নিপুণভাবে আঁকা হয়েছে, তা আজও আমাদের হৃদয়কে আন্দোলিত করে।’
শেষ পর্যায়ে বন্ধু সচিন রায়, নুর মুহাম্মদ, তাফহীম কবীর, মতিউর রহমান চৌধুরী ও স্বরুপ বিশ্বাস তাঁদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে গল্পটির নানা দৃষ্টিকোণ উপস্থাপন করেন, যা আলোচনাকে আরও সমৃদ্ধ করে তোলে।