আখতারুজ্জামান ইলিয়াস ছিলেন বাংলাদেশের একজন ছোটগল্পকার, ঔপন্যাসিক, অধ্যাপক ও প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক। তাঁকে স্বল্পপ্রজ লেখক বলা হয়। বাস্তবতার নিপুণ চিত্রণ, ইতিহাস ও রাজনৈতিক জ্ঞান, গভীর অন্তর্দৃষ্টি ও সূক্ষ্ম কৌতুকবোধ তাঁর স্বল্পসংখ্যক রচনাকে দিয়েছে ব্যতিক্রমী সুষমা। বাংলা সাহিত্যে সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর পরেই তিনি সর্বাধিক প্রশংসিত লেখক। তাঁকে সমাজবাস্তবতার অনন্যসাধারণ রূপকার বলা হয়।
৪ জানুয়ারি ছিল এই চিরঞ্জীব কথাসাহিত্যিকের ২৭তম মৃত্যুবার্ষিকী। এ উপলক্ষে নোয়াখালী বন্ধুসভা আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের জীবনী নিয়ে একটি অনলাইন পাঠচক্র ও আলোচনা সভার আয়োজন করে। বছরের প্রথম এ পাঠচক্র সঞ্চালনা করেন পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক আফরিনা আনিকা।
পরিচয়পর্ব শেষে বন্ধুরা একে একে আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের জীবনী ও তাঁর লেখালেখি নিয়ে আলোচনা করেন। লেখকের কয়েকটি বই নিয়ে পর্যালোচনা করেন উপদেষ্টা সুমন নুর। এ সময় তিনি আখতারুজ্জামান ইলিয়াস সম্পর্কে বন্ধুদের বেশ কিছু চমকপ্রদ তথ্য দেন। সুমন নুর বলেন, ‘আখতারুজ্জামান ইলিয়াস আমার দেখা অন্যতম সেরা ঔপন্যাসিক। তাঁর বাচনভঙ্গি সুন্দর ও সাবলীল। আঞ্চলিক ভাষার এত সূক্ষ্ম ব্যবহার খুব কম লেখকের লেখায় দেখা যায়।’
সাবেক সভাপতি মহিউদ্দিন রাতুল বলেন, ‘আখতারুজ্জামান ইলিয়াস অসাধারণ লেখক। তাঁর লেখা উপন্যাস দুটি অসাধারণ এবং শিক্ষার্থীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’ সভাপতি আসিফ আহমেদ বলেন, ‘আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের লেখায় বাস্তবতার নিপুণচিত্র ফুটে উঠেছে। দুটি উপন্যাস, গোটা পাঁচেক গল্পগ্রন্থ আর একটি প্রবন্ধ সংকলন নিয়ে তাঁর রচনাসম্ভার।’
এর আগে ২ জানুয়ারি নতুন কমিটির শপথপাঠ অনুষ্ঠানে ২০২৪ সালে নোয়াখালী বন্ধুসভা থেকে ৩৬টি পাঠচক্রের আসর আয়োজন করার ঘোষণা দেন পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক। পাঠচক্রে আরও উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক উম্মে ফারহীন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. শিমুল, সহসাংগঠনিক সম্পাদক তাজকির হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ধ্রুব ভূঁইয়া, প্রচার সম্পাদক সানি তামজিদ, ম্যাগাজিন সম্পাদক নাফিস আহমেদ, বন্ধু সাহিদা ইসলাম, ফয়জুন্নেসা জারিন, ফজলে রাব্বিসহ অন্য বন্ধুরা।
পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক, নোয়াখালী বন্ধুসভা