গাছ মানুষের পরম বন্ধু। গাছ বেঁচে থাকলেই বেঁচে থাকবে মানুষের জীবন। তবু সেই মানবজাতিই নির্বিচার কেটে ফেলছে গাছপালা, ধ্বংস করছে বনভূমি। ফলে বাড়ছে পৃথিবীর তাপমাত্রা, সমুদ্রের পানি আর ডুবছে উপকূলের বিস্তীর্ণ এলাকা, বিপন্ন হচ্ছে মানুষের স্বাভাবিক জনজীবন। একটি দেশের মোট আয়তনের ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকা প্রয়োজন হলেও বাংলাদেশে রয়েছে ১৬ শতাংশের কম।
সামাজিক দায়িত্ব ও কর্তব্যবোধ থেকে শিক্ষার্থীদের পরিবেশ নিয়ে সচেতন করতে ‘আমাদের পৃথিবী, আমাদের দায়িত্ব’ শিরোনামে বিশেষ সেমিনারের আয়োজন করেছে সিলেট বন্ধুসভা। ১২ আগস্ট সিলেট শহরের স্কলার্সহোম মেজরটিলা কলেজের পঞ্চম ও ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিয়ে সচেতনতামূলক এ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।
শুরুতেই বন্ধুরা গাছের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করেন। পরে ভবিষ্যতের বাংলাদেশকে শিক্ষার্থীরা কেমন দেখতে চায়, তা নিয়ে তারা চিঠি লিখে একটি লাল ডাকবাক্সে ফেলে। চিঠিতে বাংলাদেশ নিয়ে নিজেদের মনোভাব ব্যক্ত করে তারা। গাছ মারা গেলে যে পৃথিবীর মানুষও মারা যাবে, তা শিক্ষার্থীদের অনুধাবন করাতে গাছের প্রতীকী কবর স্থাপন করা হয়। এভাবে তারা গাছ কাটার বাস্তবধর্মী অভিজ্ঞতা গ্রহণ করে।
ছিল পরিবেশবিষয়ক কুইজ প্রতিযোগিতা। শেষে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভিন্ন গাছের বীজ বিতরণ করেন বন্ধুরা। এগুলো তারা নিজ বাড়ির আঙিনায় রোপণ করবে বলে প্রতিশ্রুতি দেয়। ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী মাহজাবিন চৌধুরী বলে, ‘এমন অনুষ্ঠান আমাদের গাছ ও পরিবেশ রক্ষায় এবং সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজে আসবে।’
কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন স্কলার্সহোম মেজরটিলা কলেজের অধ্যক্ষ ফয়জুল হক। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘প্রথম আলো সব সময় ভালোর সঙ্গে কাজ করে। প্রথম আলোর শুরু থেকেই আমি প্রথম আলোর সঙ্গে আছি।’
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বন্ধুসভার বন্ধু শেখ ফয়সাল আহমেদ, প্রত্যাশা তালুকদার, আরিফা খানম, ফারিহা হক, দেব রায় সৌমেন, মাহবুব ফেরদৌস, সূর্বণা দেব, শ্রেয়ান ঘোষ, অম্লান রায়, কিশোর দাশ, প্রীতন তালুকদার, অমিত রায়সহ অন্য বন্ধুরা।
সাধারণ সম্পাদক, সিলেট বন্ধুসভা