বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে শহীদ বেদিতে ফরিদপুর বন্ধুসভার মোমবাতি প্রজ্বালন

ফরিদপুর বন্ধুসভার মোমবাতি প্রজ্বালনছবি: বন্ধুসভা

ফরিদপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে শহীদদের নামসংবলিত স্মৃতিফলকের বেদিতে মোমবাতি প্রজ্বালন করেছে প্রথম আলো বন্ধুসভা। ১৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় শহরের গোয়ালচামট মহল্লা এলাকায় অবস্থিত এ বেদিতে সহস্রাধিক মোমবাতি জ্বালিয়েছেন বন্ধুরা। এ সময় শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

বেলা তিনটা থেকেই বন্ধুসভার সদস্যরা শহীদ বেদিস্থলে সমবেত হন। এরপর একে একে আলোর মাধ্যমে বাংলাদেশের পতাকা, মুক্তিযুদ্ধের প্রতীক ৫২, ৭১ সাল এবং ১৪ ডিসেম্বর—এই শব্দগুলো আকারে মোমবাতি স্থাপন করে আলোক প্রজ্বালন করা হয়। বেদির ওপর ও চারপাশ মোমবাতি দিয়ে সাজানো হয়।

সন্ধ্যা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বন্ধুরা মোমবাতি জ্বালাতে শুরু করেন। মোমবাতি জ্বালানোর পর বাংলাদেশের ইতিহাসের সঙ্গে সম্পর্কিত স্মরণীয় বর্ণসংবলিত অক্ষরগুলো এক অনন্য দৃশ্যের সৃষ্টি করে। শহীদ বেদির পাশেই ঢাকা–বরিশাল মহাসড়ক। ওই সড়কে চলাচলকারী ব্যক্তিরা মোমবাতি প্রজ্বালন দেখতে শহীদ বেদির প্রাঙ্গণে ভিড় জমান।

ফরিদপুর বন্ধুসভার মোমবাতি প্রজ্বালন।

বন্ধুসভার সাধারণ সম্পাদক সুব্রত পাল বলেন, ‘প্রতিবছর ফরিদপুর বন্ধুসভা শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে শহীদদের নামসংবলিত বেদিতে মোমবাতি প্রজ্বালন করে আসছে। এ জাতিকে মেধাশূন্য করার জন্য পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিশ্চিত পরাজয় আঁচ করতে পেরে বিজয়ের মাত্র কয়েক দিন আগে তাদের দোসর আলবদর ও আলশামস বাহিনীর সদস্যদের দিয়ে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে। সে ইতিহাস আগামী প্রজন্মকে জানাতে এবং বাংলাদেশ যেন পথ না হারায়—সে লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের আমরা স্মরণ করে আসছি।’

সহসভাপতি মানিক কুণ্ডু বলেন, ফরিদপুর বন্ধুসভার বন্ধুরা নিজেদের অর্থে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে এ মোমবাতি প্রজ্বালনের আয়োজন করেছেন।

কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন বন্ধুসভার উপদেষ্টা সহিদ উল্লাহ, সমাজসেবক রেজাউল করিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জহির হোসেন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মিঠুন দাস, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক সজিব দত্ত, স্বাস্থ্য ও ক্রীড়া সম্পাদক শ্যামল মণ্ডল, মো. আলীমুজ্জামানসহ বন্ধুসভার সদস্য ও শুভানুধ্যায়ীরা।

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ফরিদপুর বন্ধুসভা