‘কেউ কাউকে স্থান দেয় না, স্থান করে নিতে হয়’

নানা প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে আসা স্বপ্নজয়ী নারী অধ্যাপক সৈয়দা আনজুমের গল্প শোনেন বন্ধুরা
ছবি: বন্ধুসভা

‘আমার জীবনে নারী দিবস নির্দিষ্ট একটি দিন হবে কেন। নারী দিবস প্রতিদিনই। আমার মায়ের কাছ থেকে শিখেছি, নারী নয়; মানুষ হিসেবে সামনের দিকে এগিয়ে যাও।’ ৮ মার্চ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভা আয়োজিত আন্তর্জাতিক নারী দিবসের আড্ডায় এসে এসব কথা বলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দা আনজুম। নানা প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে আসা স্বপ্নজয়ী এই নারীর গল্প শুনেছেন বন্ধুরা।

বন্ধুদের উদ্দেশে অধ্যাপক সৈয়দা আনজুম বলেন, ‘বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নারীবিষয়ক বক্তব্যে আমি একটাই কথা বলি, কেউ কাউকে স্থান দেয় না, স্থান করে নিতে হয়। সমান অধিকার, সমান অধিকার বলে স্লোগান নয়। সমানাধিকার অর্জনের লক্ষ্যে রুদ্রমূর্তি হয়ে কাজে লেগে যেতে হবে। তাতেই সার্থকতা নারীর। ক্যারিয়ার, ক্যারিয়ার করে মানসিক অশান্তি না বাড়িয়ে, সংসারকে সমানভাবে শ্রদ্ধা করে, সংসারের দায়িত্ব পালন করে সামনে আগাতে পারলেই নারীর সার্থকতা। যে সমাজ আমি ভাঙতে পারব না, যে সমাজের রীতিনীতি আমার কাছে শ্রদ্ধার সম্মানের, সে সমাজে বাস করেই “অনন্যা” হয়ে ওঠার জন্য কাজ করে যেতে হবে।’

‘নারী ও উদ্ভাবন’ শিরোনামে উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতায় পুরস্কার নিচ্ছেন এক বন্ধু
ছবি: বন্ধুসভা

‘ডিজিটাল প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন, জেন্ডারবৈষম্য করবে নিরসন’ প্রতিপাদ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাকসু ভবনে নারী দিবসের এ আয়োজনে ‘নারী ও উদ্ভাবন’ শিরোনামে উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতায় অংশ নেন বন্ধুরা। বিজয়ী হয়েছেন তুহিনূজ্জামান, আসমা ফাহমিদা ও কাজী আলাউদ্দিন। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক সুমাইয়া জেসমিন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন রাবি বন্ধুসভার উপদেষ্টা মোশাররফ হোসেন, শাদমান সাকিব, প্রচার সম্পাদক সোহেল হাসান, অর্থ সম্পাদক রহিমা সিদ্দিকী, সংস্কৃতিবিষয়ক মৌ সিং, পরিবেশ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক দীপালি বাশার, তোফাজ্জল ত্বোফা প্রমুখ।

সাংগঠনিক সম্পাদক, রাবি বন্ধুসভা