‘বাবা ছিলেন বলেই জীবনে সঠিক পথে চলতে পেরেছি’

বাবা দিবসে নোয়াখালী বন্ধুসভার অনলাইন আড্ডা।

খুব অল্প বয়সে মাকে হারান নোয়াখালী বন্ধুসভার সাধারণ সম্পাদক মো. শিমুল। কিছুটা বড় হওয়ার পর হারিয়েছেন বাবাকেও। মো. শিমুল বলেন, ‘বাবা দিবসে যখন সবাই তাঁদের বাবাদের সঙ্গে স্মৃতিময় কথা বা ছবি শেয়ার দেন, তখন আমি শূন্যতা অনুভব করি।’

১৫ জুন ছিল বিশ্ব বাবা দিবস। এ উপলক্ষে রাত সাড়ে ৯টায় নোয়াখালী বন্ধুসভা আয়োজন করে অনলাইন আড্ডা। গুগল মিট অ্যাপে অনুষ্ঠিত এই আড্ডায় বন্ধুরা তাঁদের বাবাদের নিয়ে স্মৃতিচারণা করেন। উঠে আসে বাবাকে নিয়ে ভালোবাসা, ভালোলাগা ও মজার সব গল্প।

বাবা হওয়ার অনুভূতি আর নিজের বাবাকে নিয়ে স্মৃতিচারণা করে উপদেষ্টা সুমন নূর বলেন, ‘একটা সময় ভাবতাম বাবারা এত কঠোর কেন? কেন তাঁরা নিজের স্বার্থ ভুলে সম্তানদের নিয়ে ভাবেন? আজ দুই সন্তানের বাবা হয়ে সেই প্রশ্নগুলোর উত্তর নিজেই অনুধাবন করি। বাবারা আজীবন সন্তানদের তাঁদের ছায়াতলে রাখুক।’ তিনি আরও বলেন, বাবা মানেই বিশাল বটবৃক্ষ। যেই বৃক্ষ সর্বত্রই ছায়া দিয়ে আশ্রয় দিয়ে সন্তানদের আগলে রাখে। বাবা আছেন বলেই পৃথিবীর সব সন্তান নিশ্চিন্তে থাকতে পারছে। বাবারা বেঁচে থাকুক আজীবন।

সহসভাপতি জেরিন ফাহমিদা বলেন, ‘সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময় বাবাকে হারিয়েছি। কিন্তু বিয়ের পর শ্বশুররূপে আরেকজন বাবাকে পেয়েছি। যিনি কখনোই নিজের মেয়ের চেয়ে কম ভালোবাসেননি আমায়। বাবা ছিলেন বলেই জীবনে সঠিক পথে চলতে পেরেছি।’

বাবা দিবসে নোয়াখালী বন্ধুসভার অনলাইন আড্ডা।

এ সময় বন্ধু নয়ন চন্দ্র কুরী বাবা দিবসে স্বরচিত ‘আদর্শ পিতা’ কবিতাটি আবৃত্তি করে শোনান।

সভাপতি উম্মে ফারহিন বলেন, ‘ভুল করে বা তাড়াহুড়ো করে যদি কখনো স্কুলে যাওয়ার সময় টিফিন ফেলে রেখে যেতাম, বাবা স্কুলে গিয়ে টিফিন না হয় টাকা দিয়ে আসতেন। হয়তো তিনি অভিমানী, কিন্তু সৎ আর নির্ভীক মানুষ। শুধু নির্দিষ্ট দিন বা নির্দিষ্ট মুহূর্তে নয়, বাবাকে আমরা সব সময় ভালোবাসি এবং ভালোবাসব।’

আড্ডায় আরও উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ও ত্রাণ সম্পাদক সাহিদুল ইসলাম, সহসাংগাঠনিক সম্পাদক আরাফাত শিহাব, বন্ধু বোরহান উদ্দিনসহ অন্য বন্ধুরা।

সাংগঠনিক সম্পাদক, নোয়াখালী বন্ধুসভা