হুমায়ুন আজাদের ‘লাল নীল দীপাবলি’ বই নিয়ে পাঠচক্রের আসর করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভা। গত ২৮ মার্চ রাত ১০টায় অনলাইন গুগল মিট অ্যাপে এটি অনুষ্ঠিত হয়। বইটিতে মূলত বাংলা সাহিত্যের উত্থান–পতন, উদ্ভবের ইতিহাস ও এর জীবনী নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
বইটি সম্পর্কে বন্ধু রাফাত আহমেদ বলেন, বাংলা সাহিত্যের জীবনী বলা হয় ‘লাল নীল দীপাবলি’কে। হুমায়ুন আজাদ হাজার বছরের ইতিহাসকে অত্যন্ত সহজ ও প্রাঞ্জল ভাষায় উপস্থাপন করেছেন পাঠকের সামনে, যা পাঠকের জ্ঞানতৃষ্ণা মেটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তিনি অত্যন্ত আন্তরিকতার মাধ্যমে সময়ের তলানি থেকে পাঠকের জন্য খুঁজে এনেছেন লুইপা, কাহ্নপা থেকে আধুনিক যুগের কবি–সাহিত্যিকদের, যাঁদের অবদানে জ্বলে উঠেছে বাংলা সাহিত্যের লাল নীল দীপাবলি। হুমায়ুন আজাদ সাহিত্যের বিকাশের বিচিত্র বাঁক ও মোড় তাৎপর্যময় করে তুলেছেন, গভীর মমতায় রূপায়িত করেছেন সমৃদ্ধ ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি। অত্যন্ত সহজ, সরল ও প্রাঞ্জল বর্ণনা পাঠককে বাধ্য করবে পুরো বইয়ের ইতি টানতে। এদিক থেকে পাঠকের হৃদয় জয়ে হুমায়ুন আজাদ সার্থক।
বন্ধু সাজ্জাদ হাসান বলেন, ‘হুমায়ুন আজাদ স্যারের রচিত আমার বয়সী তরুণ–তরুণীদের জন্য বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের জীবনের সংক্ষিপ্তসার দুটি অসামান্য রচনা হলো “লাল নীল দীপাবলি” ও “কতো নদী সরোবর”। বই দুটি এমন এক অনবদ্য সংকলন, যা আমাদের জানার জন্য গভীর অধ্যয়নের প্রয়োজন। কিন্তু স্যারের শব্দের জাদুতে তা হয়ে উঠেছে রসালো, আকর্ষণীয় ও সহজপাঠ্য। এমন বই যেকোনো সাহিত্যপ্রেমী শিক্ষার্থীর জন্য অবশ্যই পাঠ্য হওয়া উচিত।’
সাধারণ সম্পাদক আলী আকরাম পিয়েল বলেন, ‘সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সাহিত্যও এগিয়ে চলে। যে সাহিত্য বর্তমানে আমরা পাঠ করি, তা আগে এই রকম ছিল না, সাহিত্যেরও বিবর্তন হয়। সাহিত্যের বিকাশ ও রূপান্তর ঘটে, লেখক অত্যন্ত সুন্দরভাবে সেটা বুঝিয়ে দিয়েছেন। বাংলা সাহিত্যের আদি থেকে বর্তমান বিভিন্ন সময়ের কবি–লেখকদের বর্ণনা, তাঁদের সৃষ্ট সাহিত্য খুব সহজভাবে গুছিয়ে পুরো ইতিহাসটাকে লেখক এই বইয়ে তুলে ধরেছেন।’
পাঠচক্রে আরও উপস্থিত ছিলেন সহসভাপতি নুসরাত পাইরিন, অর্থ সম্পাদক রওশন আরা রব, কার্যনির্বাহী সদস্য জয়দেব ও অন্য বন্ধুরা।
প্রচার সম্পাদক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভা