সাহায্য নয়, সহযোগিতার হাত বাড়াই

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভার একটি ভালো কাজ
ছবি: বন্ধুসভা

একজন হ্যাংলা-পাতলা গড়নের লোক। নাম আইয়ুব আলী। হাতে বাজারের ব্যাগে একটি কম্বল, তোয়ালে ও লুঙ্গি। দুই-তিন দিন আগে গ্রামের বাড়ি থেকে এসেছেন কাজের খোঁজে। বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের এক অজোপাড়া গ্রামে। রাজশাহী রেলস্টেশনে রাতযাপন করেন। ভোরে বেরিয়ে পড়েন কাজের খোঁজে। আগের দিনের মতো ৩১ অক্টোবরও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেছেন হোটেল বা অন্য কোথাও কাজের খোঁজে। এই দুই দিনে কোথাও কাজ পাননি, এদিকে পকেটে যা টাকা ছিল সব শেষ! নিরুপায় হয়ে পেটের দায়ে পরে ভিক্ষা করতে শুরু করেন।

প্রথম আলোর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর রজতজয়ন্তী উপলক্ষে ‘একটি করে ভালো কাজ’-এর অংশ হিসেবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভার বন্ধুরা আইয়ুব আলীকে নিজেদের অর্থায়নে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছেন। প্রথম আলো পত্রিকার ২৫টি ছাপা কাগজ কিনে লোকটিকে বিক্রি করার জন্য দেওয়া এবং কিছু নগদ অর্থসহায়তা করেন বন্ধুরা। কীভাবে এবং কোথায় পত্রিকা বিক্রি করতে হবে, এ বিষয়েও ধারণা দেওয়া হয়। পাশাপাশি ভবিষ্যতে যাতে ভিক্ষাবৃত্তিতে জড়িয়ে না পড়েন, সে জন্য দেখভালের দায়িত্ব নেন বন্ধুরা এবং সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেন।

হঠাৎ এমন সহযোগিতা পেয়ে আনন্দে আইয়ুব আলী বলেন, ‘আপনাগো ধন্যবাদ দিয়া ছোড করতে চাই না। আপনাগোর জন্য দোয়া করি।’ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভার সাধারণ সম্পাদক সুমাইয়া জেসমিন বলেন, ‘আমরা সামর্থ্য অনুযায়ী একজন মানুষকে সাহায্য করেছি। সমাজে এমন লোকের সংখ্যা আরও আছে। আমরা নিজ নিজ জায়গা থেকে এ রকম অসহায় লোকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিতে পারি। এতে সমাজ থেকে ভিক্ষাবৃত্তির পাশাপাশি বেকারত্বও কিছুটা হলেও দূর হবে।’

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সহসভাপতি নয়ন চন্দ্র দাস, সাংগঠনিক সম্পাদক তুহিনূজ্জামান, মেহেদী হাসান, আবদুল্লাহ আল নোমান, শাহজাহানসহ অন্য বন্ধুরা।

সাংগঠনিক সম্পাদক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভা