চট্টগ্রাম বন্ধুসভার উদ্যোগে ‘টেলিভিশন’ চলচ্চিত্র প্রদর্শনী

‘টেলিভিশন’ চলচ্চিত্র প্রদর্শনীছবি: বন্ধুসভা

মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘টেলিভিশন’ প্রদর্শন করেছে চট্টগ্রাম বন্ধুসভা। ১১ জুলাই বিকেলে প্রথম আলো চট্টগ্রাম অফিসের বন্ধুসভা কক্ষে এটি উপভোগ করেন বন্ধুরা। সমাজ ও সংস্কৃতির প্রতিফলন ঘটানো এ চলচ্চিত্র বন্ধুসভার সদস্যদের জন্য এক গভীর উপলব্ধির সন্ধান এনে দেয়।

প্রায় দুই ঘণ্টার চলচ্চিত্র প্রদর্শনী শেষ হলে বন্ধুসভার সদস্যদের মধ্যে এক প্রাণবন্ত আলোচনা হয়। কেউ গল্পের গভীরতা নিয়ে, কেউ-বা চরিত্রের সংকট নিয়ে মত প্রকাশ করেন। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাঈদ আল সোহেল বলেন, ‘চলচ্চিত্রটা শুধু ধর্ম বা সংস্কৃতির কথা বলে না, এটা আমাদের চিন্তাজগতেও নাড়া দেয়। এই গল্প অনেকটা আমাদের সমাজেরই প্রতিচ্ছবি।’

আরেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা বলেন, ‘অবাক হয়েছি, কীভাবে একটি সাধারণ বিষয় নিয়ে এত শক্তিশালী বার্তা দেওয়া যায়। শেষ দৃশ্যটা ভীষণ ভালো লেগেছে—ধর্ম ও আধুনিকতাকে একসঙ্গে মেলানোর দারুণ চেষ্টা।’

চট্টগ্রাম বন্ধুসভার উদ্যোগে ‘টেলিভিশন’ চলচ্চিত্র প্রদর্শনী।

‘টেলিভিশন’ চলচ্চিত্রটি, ইলেকট্রনিক মিডিয়ার ভালো ও খারাপ দিক— দুটোই তুলে ধরেছে। একজন ব্যক্তি যিনি কিনা হজে যেতে পারেননি, কিন্তু টেলিভিশনের মাধ্যমে হজের আনুষ্ঠানিকতা দেখে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন। আবার চেয়ারম্যানের ছেলে এবং এক স্থানীয় তরুণীর মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে, যা সমাজে চাপা উত্তেজনা তৈরি করে। এ ঘটনা সামাজিক কুসংস্কার, নিষেধাজ্ঞা ও ব্যক্তিগত চাওয়ার দ্বন্দ্ব প্রকাশ করে।

বন্ধু আফিফ হোসেন বলেন, ‘মুক্তচিন্তা কীভাবে ধীরে ধীরে রক্ষণশীল সমাজেও ঢুকে পড়ে, সেটাই এ চলচ্চিত্র খুব সুন্দরভাবে দেখিয়েছে। চলচ্চিত্রটা আমাকে নিজের পরিবার ও সমাজের কিছু কঠিন বাস্তবতার কথা মনে করিয়ে দিয়েছে।’

উক্ত অনুষ্ঠানের সমন্বয়কারী ছিলেন বন্ধু মাসুদ রানা, ফয়সাল হাওলাদার ও জয় চক্রবর্ত্তী।

কার্যনির্বাহী সদস্য, চট্টগ্রাম বন্ধুসভা