হুমায়ূন আহমেদের লেখা ঐতিহাসিক উপন্যাস ‘দেয়াল’। বইটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়কে উপস্থাপন করে, যা পাঠকদের গভীরভাবে চিন্তা করতে উৎসাহিত করে। উপন্যাসটি নিয়ে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি পাঠচক্রের আসর করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভা। বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির ১০ নম্বর কক্ষে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
পাঠচক্রে আলোচক হিসেবে ছিলেন বইমেলা সম্পাদক মারিয়া মুরাদ। তাঁর আলোচনায় উঠে আসে হুমায়ূন আহমেদের ‘দেয়াল’ রাজনৈতিক পটভূমিতে রচিত উপন্যাস, যা ১৯৭৫ সালের বাংলাদেশের পরিস্থিতি এবং ব্যক্তিগত সম্পর্কের জটিলতা তুলে ধরে। উপন্যাসের মূল চরিত্র অবন্তী, ১৬ বছরের এক কলেজছাত্রী।
লেখক এখানে রাজনৈতিক চরিত্রগুলোর মাধ্যমে ইতিহাসের ঘটনা ও পরিস্থিতি বর্ণনা করেছেন। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ড, রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র এবং বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্ধকার অধ্যায়গুলোকে সহজ ভাষায় উপস্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে খালেদ মোশাররফ, মেজর ফারুক এবং কর্নেল তাহেরের মতো চরিত্রের উপস্থিতি উপন্যাসকে আরও বাস্তবমুখী করে তুলেছে। ‘দেয়াল’ ইতিহাস ও সমাজের এক বাস্তব চিত্র; যেখানে সাধারণ মানুষের মানসিকতা ও রাজনৈতিক অস্থিরতা সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে।
সাবেক সাধারণ সম্পাদক গিয়াসউদ্দিন মুন্না বলেন, ‘হুমায়ূন আহমেদ শুধু একজন গল্পকারই ছিলেন না, বরং তিনি একজন ইতিহাসসচেতন লেখকও ছিলেন। উপন্যাসগুলোয় তিনি মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন দিক খুব সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন এবং এসব দিক পাঠকদের জন্য নতুন দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করেছে।’
বন্ধু, জাবি বন্ধুসভা