পদ্মা নদীর চরে ফরিদপুর বন্ধুসভার চড়ুইভাতি
জীবনের একঘেয়েমি থেকে খানিক মুক্তি পেতে ফরিদপুর বন্ধুসভার বন্ধুরা মিলেছিল প্রাণের টানে চড়ুইভাতির আয়োজনে। ১৯ ফেব্রুয়ারি দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় পদ্মা নদীর ওপারে ফরিদপুর সদরের ডিক্রিরচর ইউনিয়নের তাহের ফকিরের ডাঙ্গী গ্রামে।
বুধবার ভোরে বন্ধুরা রওনা হয়ে যান গন্তব্যের উদ্দেশে। প্রথম আলো ফরিদপুরের নিজস্ব প্রতিবেদক প্রবীর কান্তি বালার কার্যালয় থেকে দুটি ইজিবাইক নিয়ে শহরতলির ভাজনডাঙ্গা এলাকার ভুইয়াবাড়ি ঘাটে গিয়ে পৌঁছাই। এরপর ট্রলারে পদ্মা নদী পার হয়ে কিছুটা পথ হেঁটে গন্তব্যে।
প্রথমেই ইট দিয়ে দুটি চুলা তৈরি করে শুরু হয় রান্নার আয়োজন। খিচুড়ি ও মাংস রান্না করেন সভাপতি লক্ষ্মণ মন্ডল ও স্বাস্থ্য ও ক্রীড়া সম্পাদক শ্যামল মন্ডল। পায়েস রান্না করেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাফিকুল ইসলাম। তাঁদের সহযোগিতা করেন সাধারণ সম্পাদক সুব্রত পাল ও বন্ধু তিশা দাস।
চড়ুইভাতি অনুষ্ঠানে ছিল প্রীতি ফুটবল ম্যাচ। ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা নামে দুই দলে বিভক্ত হয়ে এটি অনুষ্ঠিত হয়। খেলা ১-১ গোলে ড্র হয়। পরে বন্ধুরা নদীতে নেমে গোসল করেন। দুপুরের খাওয়াদাওয়া শেষে আবারও খেলাধুলা শুরু হয়। ঝুড়িতে বল নিক্ষেপ ও বিষের বালিশ খেলায় অংশ নেন সবাই। ঝুড়িতে বল নিক্ষেপ খেলায় বিজয়ী হয়েছেন বন্ধু মাফিকুল ইসলাম ও সজীব পাল এবং বিষের বালিশ খেলায় বিজয়ী হয়েছেন বন্ধু লক্ষ্মণ মন্ডল ও তিশা দাস।
প্রথম আলো ফরিদপুরের আলোকচিত্রী আলিমুজ্জামান আমাদের হাসিঠাট্টা আর দুষ্টুমির বিভিন্ন মুহূর্তের দৃশ্য ক্যামেরাবন্দী করেন। বন্ধুরাও যে যাঁর মুঠোফোনে নানা ধরনের ছবি তুলে আয়োজনকে ফ্রেমবন্দী করে রাখেন। সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক প্রবীর কান্তি বালা।
চড়ুইভাতিতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বন্ধু রফিকুল ইসলাম, মানিক কুন্ডু, বাধন পাল, শুভ বিশ্বাস, মিঠুন দাস, প্রান্ত ঘোষ, শম্পা কোমল, সজীব দত্ত, সজীব পাল, জহির হোসেন ও তাওহিদুজ্জামান।
সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বন্ধুরা ছিল প্রাণবন্ত ও হাসিখুশিতে উচ্ছল। দিন শেষে আমরা যখন ফিরছিলাম, তখন ক্লান্তির পাশাপাশি সবার চোখেমুখে ছিল এক প্রশান্তির হাসি। এভাবে শহুরে কোলাহলমুক্ত থেকে প্রকৃতির নিবিড় সান্নিধ্যে নিজেদের মেলে ধরার এ আয়োজন আমাদের মানসপটে জাগরূক থাকবে অনেক দিন।
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ফরিদপুর বন্ধুসভা