বিদ্রোহের কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মদিন ঘিরে ২৯ মে ভৈরব বন্ধুসভা আয়োজন করে বিশেষ পাঠচক্র। বিষয়বস্তু ছিল প্রবন্ধ গ্রন্থ ‘রাজবন্দীর জবানবন্দী’। ১৭৮তম পাঠের আসরটি সঞ্চালনা করেন পাঠচক্র ও পাঠাগার সম্পাদক তানসি নাহার।
‘রাজবন্দীর জবানবন্দী’ প্রবন্ধে কবি সত্যকে জাগিয়ে তুলেছেন। আর অন্যায় শাসনক্লিষ্ট বন্দী সত্যের পীড়িত ক্রন্দন কবির কণ্ঠে ফুটে ওঠার কারণেই তাঁকে কারাগারে যেতে হয়েছিল। কারাগারের অন্ধ প্রকোষ্ঠে অন্তরীণ কবি আত্মচেতনার শক্তিতে বলীয়ান ছিলেন। সমাজ, জাতি ও দেশের মধ্যে বিরাজমান সব ধরনের অনাচারের বিরুদ্ধে তিনি সোচ্চার ছিলেন। বিদ্রূপ, অপমান, আঘাত, লাঞ্ছনা অপরিমেয়ভাবে বর্ষিত হলেও তিনি সত্যচ্যুত হননি।
উপদেষ্টা সুমন মোল্লা বলেন, ‘একটি দেশের একজন সাহিত্যিক সেই দেশের সম্পদ। কাজী নজরুল ইসলাম আমাদের দেশের সম্পদ ছিল। সাহিত্যের সর্বক্ষেত্রে যেমন তাঁর বিচরণ ছিল, গানেও রয়েছে তাঁর বিশাল বিচরণ।’
উপদেষ্টা সুমাইয়া হামিদ বলেন, ‘রাজবন্দীর জবানবন্দী’ প্রবন্ধটি পড়লে খুব ভালোভাবে উপলব্ধি করা যায় নজরুলকে কেন বিদ্রোহের কবি বলা হয়।
সাধারণ সম্পাদক মানিক আহমেদ বলেন, ‘নজরুল ছিলেন সাম্যের কবি। তিনি তাঁর এই প্রবন্ধে নিজেকে সত্যের পূজারি এবং সরকার ও তার কর্মচারীদের অসত্যের প্রতীক হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
কার্যকরী সদস্য রিফাত হোসেন বলেন, কবি তাঁর প্রবন্ধে নিজেকে আত্মবিশ্বাসী হিসেবে ফুটিয়ে তুলেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের জবাবে এই জবানবন্দি।
পাঠচক্র ও পাঠাগার সম্পাদক, ভৈরব বন্ধুসভা