মোংলা বন্ধুসভার সহমর্মিতার ঈদ
পশুর নদঘেঁষা মোংলা পোর্ট পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চরকানা এলাকায় বসবাস করেন হাজারো মানুষ। যাঁদের বেশির ভাগই স্থানীয় বাসিন্দা নন। জীবিকার তাগিদে তাঁরা দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এখানে এসে খুঁজে নিয়েছেন নিজেদের থাকার জায়গা ও রুটিরুজির সংস্থান। পশুর নদের তীরে গোলপাতা, নলখাগড়া ও বাঁশ দিয়ে গড়েছেন খুপড়ি আর জীবিকার তাগিদে সম্পর্ক গড়েছেন এই নদেরই সঙ্গে।
মানুষগুলোর জীবিকা পশুর নদের সঙ্গে কোনো না কোনোভাবে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত। নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও সীমাহীন অভাব তাঁদের নিত্যসঙ্গী। এত প্রতিকূলতার মধ্যেও জীবন এই নদের মতো বয়ে চলেছে, বিস্তার করেছে শাখা-প্রশাখা। এখানে ঈদ আসে, তবে আসে না ঈদের পরিপূর্ণতা।
জাতীয় পরিচালনা পর্ষদের আহ্বানে ‘সহমর্মিতার ঈদ’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে এলাকাটির শিশুদের মধ্যে নতুন পোশাক উপহার দিয়েছে মোংলা বন্ধুসভা। ৩০ মার্চ এগুলো বিতরণ করেন বন্ধুরা।
নতুন পাঞ্জাবি-পায়জামা পেয়ে হাসি ফোটে পাঁচ বছরের শিশু রমজানের মুখে। স্থানীয় বাসিন্দা মো. জসিম বলেন, ‘মানুষের জন্য কিছু করতে পারাটা সত্যিই পরম সৌভাগ্য ও সোয়াবের কাজ। আমরা যদি এভাবে সবাই সবার অবস্থান থেকে কাজ করি, এগিয়ে আসি মানবকল্যাণে, তাহলে কেউ আর দুঃখী থাকবে না।’
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন মোংলা বন্ধুসভার বন্ধু প্রদীপ মহলদার, আবুল কাশেম, জাহিদ হাওলাদার, ধীমান মন্ডল, ফারজানা ইয়াসমিন, তানিয়া আক্তার, সোহেল খান, আল আমিনসহ অনেকে।
বন্ধু প্রদীপ মহলদার বলেন, ‘আমরা আপনাদের কাছে ছুটে এসেছি মানুষ হিসেবে সমাজের প্রতি, মানুষের প্রতি আমাদের যে দায়বদ্ধতা রয়েছে, সেই স্থান থেকে। আমরা আমাদের সাধ্যমতো যতটুকু পেরেছি, তা দিয়েই আপনাদের সন্তানদের মুখে হাসি ফোটানোর চেষ্টা করেছি। সবাই নতুন জামা পরবে।’
সভাপতি, মোংলা বন্ধুসভা