আজিলা বেগমের (৭০) বাড়ি গাইবান্ধার বাহাদুরপুর গ্রামে। গ্রামটি সদর উপজেলার বল্লমঝাড় ইউনিয়নের অন্তর্গত। তিনি চার বছর আগে অসুস্থ হয়ে পড়েন। অন্যের দেওয়া হুইলচেয়ারে চলাচল করতেন। তিন বছর আগে হুইলচেয়ার থেকে মাটিতে পড়ে গিয়ে আহত হন। তখন ডান পায়ে আঘাত পান। একপর্যায়ে ডান পা ফুলে যায়। পরে সেটি ক্ষত হয়ে যায়। বাধ্য হয়ে অপারেশনের মাধ্যমে ডান পায়ের হাঁটুর নিচ থেকে কেটে ফেলতে হয়।
এদিকে বৃদ্ধার স্বামী এখলাছ মিয়া ছয় বছর আগে মারা যান। তিনিও অসুস্থ ছিলেন। বসতভিটা বিক্রি করে চিকিৎসা করে শেষরক্ষা হয়নি। ছয় বছর ধরে অন্যের জায়গায় ছাপরা তুলে বসবাস করছেন। আজিলার একমাত্র মেয়েও বিধবা। বর্তমানে ঢাকায় অন্যের বাসায় ঝিয়ের কাজ করেন। আজিলা বেগম কষ্ট করে চলাচল করেন। চলাচল করতে অনেক কষ্ট হয়। দুই হাতের ওপর ভর করে এবাড়ি–ওবাড়ি ভিক্ষা করেন। এভাবেই তিনি জীবিকা নির্বাহ করছেন।
সেই আজিলাকে আজ ২৪ অক্টোবর সকালে গাইবান্ধা বন্ধুসভার বন্ধুরা একজোড়া ক্রাচ উপহার দিয়েছেন। উপহার পেয়ে অনেক খুশি হন এই বৃদ্ধা। জীবনের কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। বন্ধুসভার বন্ধুদের জন্য দোয়া করে দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন গাইবান্ধা বন্ধুসভার সহসভাপতি জিসান মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান, বন্ধু অর্পিতা রহমান, তুবা রহমান ও মাহির মাজেদ।
বন্ধুরা জানান, তাঁদের জমাকৃত হাতখরচের টাকা দিয়ে ডান পা হারানো বৃদ্ধা আজিলা বেগমকে ক্রাচ উপহার দেওয়া হয়। প্রথম আলোর ২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে একটি ভালো কাজের অংশ হিসেবে এ উদ্যোগ।
সাধারণ সম্পাদক, গাইবান্ধা বন্ধুসভা