গাইবান্ধা জেলা শহর থেকে প্রায় ১৬ কিলোমিটার দূরে কামারজানি নৌঘাট। এখান থেকে নৌকায় আধা ঘণ্টার পথ। নৌকা থেকে নামার পর বালুচরে প্রায় ২৫ মিনিট হেঁটে যেতে হয়। এরপর সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কাপাসিয়া ইউনিয়নের পোড়ারচর এলাকা। এলাকাটির চারদিকে তিস্তা নদীবেষ্টিত। দেখতে দ্বীপের মতো।
১৮ জানুয়ারি প্রথম আলো ট্রাস্টের অর্থায়নে পোড়ারচর এলাকায় শীতবস্ত্র বিতরণ করেছে গাইবান্ধা বন্ধুসভা। পাশাপাশি উপজেলার কামারজানি ও গিদারি ইউনিয়নের মানুষদের মধ্যেও কম্বল দেওয়া হয়। বন্ধুরা পিকআপ-ভ্যান, নৌকা ও মাথায় করে কম্বল নিয়ে সেখানে যান। সেগুলো বিতরণ করা হয় স্থানীয় ২০০ শীতার্ত মানুষের মধ্যে।
প্রায় ১২ হাজার লোক–অধ্যুষিত কাপাসিয়া ইউনিয়নের বেশির ভাগ এলাকা ভাঙ্গনকবলিত। প্রতিবছর নদীতে আবাদি জমি ভেঙে চর জেগে উঠছে। এর মধ্যে পোড়ারচর, খানাবাড়ী, কাজিয়ারচর, ভাটি বোজাগাড়ি গ্রাম বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। প্রতিবছর তিস্তার ভাঙনের কারণে এসব গ্রামের মানুষের অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড ভেঙে গেছে। নদীতীরবর্তী এসব গ্রামের বেশির ভাগ মানুষ গরিব। একসময়ের গৃহস্থরা এখন নদীভাঙনে নিঃস্ব। তাঁদের অনেকে নদীতে মাছ শিকার করেন। অনেকে রিকশা চালান, অনেকে দিনমজুরের কাজ করেন। এভাবে জীবিকা নির্বাহ করেন। কাপাসিয়া–সংলগ্ন সদর উপজেলার কামারজানি ইউনিয়নেরও একই অবস্থা।
কম্বল বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন গাইবান্ধা বন্ধুসভার উপদেষ্টা জিয়াউর রহমান, সহসভাপতি মেহেদী হাসান, রেজাউল করিম, সাধারণ সম্পাদক উম্মে হাবিবা, অর্থ সম্পাদক নিশাত তাসনিন, বন্ধু নিফাউল ইসলাম, লিয়া খাতুন ও প্রথম আলোর প্রতিনিধি শাহাবুল শাহীন প্রমুখ।
সহসভাপতি, গাইবান্ধা বন্ধুসভা