১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার সময় পাকিস্তানে মিলিটারি একাডেমিতে ক্যাডেট হিসেবে প্রশিক্ষণরত ছিলেন লে. কর্নেল (অব.) মোদাসসের হোসেন খান, বীর প্রতীক। সেখানে থাকতেই শুনতে পান বাঙালির ওপর পাকিস্তানি সেনাদের গণহত্যা চালানোর খবর। এই খবর শোনার পর প্রশিক্ষণের মাঝপথেই পালিয়ে বাংলাদেশে ফিরে এসে রণাঙ্গনে সরাসরি যুদ্ধে অংশ নেন।
মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ২৬ মার্চ প্রথম আলো বন্ধুসভার ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায় মুক্তিযুদ্ধের গল্প শোনান লে. কর্নেল (অব.) মোদাসসের হোসেন খান, বীর প্রতীক। তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ করেছে দেশের আপামর জনতা। মুক্তিযোদ্ধাদের কোনো দল নেই।’ জাতীয় পর্ষদের উদ্যোগে বেলা ৩টায় শুরু হওয়া এই সভায় আরও বক্তব্য দেন সাংবাদিক ও কলামিস্ট সোহরাব হাসান, বন্ধুসভা জাতীয় পর্ষদের সভাপতি জাফর সাদিক, সহসভাপতি রুবাইয়াত সাইমুম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন মল্লিক। সঞ্চালনা করেন সহসভাপতি মাহবুব পারভেজ।
আলোচনা শেষে স্বাধীনতা দিবসের কুইজ প্রতিযোগিতার ফলাফল ঘোষণা করা হয়। ২৫ মার্চ অনলাইনে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। অংশগ্রহণ করেন সারা দেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ও শিক্ষার্থী। প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছেন ঝিনাইদহ সরকারি কেশব চন্দ্র কলেজের মাসুম বিল্লাহ, দ্বিতীয় হয়েছেন ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি চট্টগ্রামের জোবায়ের বিন হোসাইন এবং তৃতীয় হয়েছেন টাঙ্গাইল সরকারি এম এম আলী কলেজের শিক্ষার্থী সৌগত বসাক।
বিচারক হিসেবে ছিলেন জাতীয় পর্ষদের সহসভাপতি মাহবুব পারভেজ, রুবাইয়াত সাইমুম চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক নেওয়াজুল মওলা ও কার্যনির্বাহী সদস্য সৌমেন্দ্র গোস্বামী।
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা, পুষ্পস্তবক অর্পণ, মোমবাতি প্রজ্বালন ও কুইজ প্রতিযোগিতাসহ নানা আয়োজনে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণ করেছে সারা দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও স্থানীয় বন্ধুসভাগুলো।