পরিবেশ রক্ষা ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে টিকে থাকার লড়াইয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এবং সবুজায়ন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গাছের চারা রোপণ ও বিতরণ করেছে নোয়াখালী বন্ধুসভা। ‘আর নয় প্লাস্টিক দূষণ, জীবন বাঁচাতে বৃক্ষরোপণ’ প্রতিপাদ্যে ২৪ জুলাই প্রথম ধাপে সদর উপজেলায় অরুণ চন্দ্র উচ্চবিদ্যালয়ে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ফলদ, বনজ, ঔষধি ও কাঠজাতীয় গাছের ২০০টি চারা বিতরণ এবং কিছু চারা রোপণ করেন বন্ধুরা। গাছের মধ্যে ছিল আম, জাম, বরই, লিচু, বহেরা, অর্জুন, হরীতকী, নিম, মেহগনি ও ঝাউগাছ ইত্যাদি। পরে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ও প্লাস্টিক দূষণ রোধে করণীয় বিষয়ে শিক্ষার্থীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় উন্মুক্ত সেমিনার।
নোয়াখালী বন্ধুসভার সাংগঠনিক সম্পাদক সানি তামজীদের সঞ্চালনায় সেমিনারে উপদেষ্টা মাহফুজের রহমান বলেন, ‘গাছের মতোই বন্ধুসভার বন্ধুরাও আমাদের পরিবেশের বন্ধু। প্রতিবছর বন্ধুসভার উদ্যোগে জেলার বিভিন্ন স্থানে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালিত হয়, যা পরিবেশের জন্য অত্যন্ত ইতিবাচক ভূমিকা রাখে।’
অরুণ চন্দ্র উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ভূপাল চন্দ্র দেবনাথ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় এবং টিকে থাকার জন্য বেশি বেশি বৃক্ষরোপণের বিকল্প নেই।
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সুজন মাহমুদ ও হোসনে আরা বৃক্ষরোপণ বিষয়ে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন। নোয়াখালী বন্ধুসভার সাবেক সভাপতি আসিফ আহমেদ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাজকির হোসেন পরিবেশদূষণ প্রতিরোধে বৃক্ষ রোপণের প্রয়োজনীয়তা ও সচেতনতা নিয়ে আলোচনা করেন।
নোয়াখালী বন্ধুসভা বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির পাশাপাশি প্রতিবছর সর্বোচ্চসংখ্যক গাছ রোপণকারী হিসেবে একজনকে ‘বৃক্ষবন্ধু’ নির্বাচন করার উদ্যোগ নিয়েছে। সে ধারাবাহিকতায় এ বছর ১৮টি গাছ রোপণ করায় অরুণ চন্দ্র উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী তামজীদুল ইসলামকে গাছ উপহার দেওয়া হয়।
কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী বন্ধুসভার পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক সাহিদা রেশমি, দপ্তর সম্পাদক নয়ন চন্দ্র কুরী, প্রশিক্ষণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, কার্যনির্বাহী সদস্য জুনাইন কাউসার, বন্ধু শান্ত দে, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য রিয়াজুদ্দিনসহ অন্যরা।
দুর্যোগ ও ত্রাণ সম্পাদক, নোয়াখালী বন্ধুসভা