‘বই পড়াকে সামাজিক আন্দোলন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে’

নোয়াখালীতে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবসের আলোচনা সভা শেষে বন্ধুসভার বন্ধুরাছবি: বন্ধুসভা

‘গ্রন্থাগার হলো হাসপাতালের মতো গুরুত্বপূর্ণ। শারীরিক অসুস্থতা হলে যেমন হাসপাতালে যাওয়া প্রয়োজন, একইভাবে মনে অসুখ হলে গ্রন্থাগারে যাওয়া প্রয়োজন।’

৫ ফেব্রুয়ারি নোয়াখালীতে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবসের আলোচনা সভায় এ কথা বলেন জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের সহকারী লাইব্রেরিয়ান ফেরদৌস আক্তার। জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে এটির আয়োজন করে সরকারি গণগ্রন্থাগার ও জেলা প্রশাসন নোয়াখালী।

নোয়াখালী জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ বলেন, ‘মানুষ হিসেবে প্রত্যেকের জ্ঞান অর্জন করা অত্যাবশক। আর জ্ঞান অর্জনের জন্য গ্রন্থাগারের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।’ এ সময় তিনি সবাইকে জাতীয় অধ্যাপক আবদুল রাজ্জাককে নিয়ে আহমেদ ছফার লেখা বই ‘যদ্যপি আমার গুরু’ পড়ার পরামর্শ দেন।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) জিন্নাত রেহানা বক্তব্যের শুরুতে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহকে উদ্ধৃত করে বলেন, ‘জীবনে তিনটি জিনিসের প্রয়োজন—বই, বই আর বই।’ এ সময় তিনি সবাইকে ‘পুষ্প, বৃক্ষ এবং বিহঙ্গ পুরাণ’, ‘আর্ট অব ওয়ার’ ও ‘আল কেমিস্ট’ বই তিনটি পড়ার পরামর্শ দিয়ে বলেন, ‘বই পড়াকে সামাজিক আন্দোলন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।’

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুহাম্মদ ইসমাইল, নোয়াখালী সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ রফিক উল্ল্যাহ প্রমুখ।

এর আগে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস উপলক্ষে ৩ ফেব্রুয়ারি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। আলোচনা শেষে সাংস্কৃতিক আয়োজনে বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হয়। উপস্থিত বক্তৃতা (খ) বিভাগে প্রথম স্থান অধিকার করেন নোয়াখালী বন্ধুসভার দুর্যোগ ও ত্রাণ সম্পাদক সাহেদুল ইসলাম এবং তৃতীয় স্থান অধিকার করেন নোয়াখালী বন্ধুসভার সাধারণ সম্পাদক মো. শিমুল।

সাধারণ সম্পাদক, নোয়াখালী বন্ধুসভা