পুণ্ড্র ইউনিভার্সিটি বন্ধুসভার পাঠচক্রে ‘শেষের কবিতা’
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত উপন্যাস ‘শেষের কবিতা’ নিয়ে পাঠচক্রের আসর করেছে পুণ্ড্র ইউনিভার্সিটি বন্ধুসভা। ৫ মে পুণ্ড্র ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ক্যাম্পাসের পুকুরপারে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
‘শেষের কবিতা’ উপন্যাস নিয়ে আলোচনা করেন বন্ধু জান্নাত ঐশি। তিনি মনের মাধুরী মিশিয়ে উপন্যাসের গভীরে নিয়ে যান সব বন্ধুকে। জান্নাত ঐশি বলেন, ‘“শেষের কবিতা”কে শুধু একটি নিছক প্রেমের গল্প বলা যাবে না। এটা তার থেকেও অনেক বেশি, অনেক গভীর। দুটি আত্মা—অমিত আর লাবণ্য, যারা একে অপরকে খুঁজে পায়, ভালোবাসে, কিন্তু শেষমেশ আলাদা হয়ে যায়। তাদের ভালোবাসা ছিল কাব্যিক, বুদ্ধিদীপ্ত, আর প্রশ্নে ভরা। তারা একে অপরকে অধিকার করতে চায়নি, চেয়েছে বোঝাতে—ভালোবাসার অন্য রকম অর্থ খুঁজতে।’
জান্নাত ঐশি বলেন, ‘লাবণ্য খুব শক্ত মেয়ে, স্বাধীন। সে জানে কখন থামতে হয়—যদি তা কষ্টদায়কও হয়। অমিত স্বপ্নবাজ, আবেগপ্রবণ, কিন্তু নিজের অনুভূতির প্রতি সৎ। এই উপন্যাসের আরেকটি বড় আকর্ষণ এতে থাকা কবিতা। এই গল্পটা আমাদের বার্তা দেয়—গভীরভাবে ভালোবাসা যায়, এরপর বিদায়ও নেওয়া যায়। নিজেকে বেছে নেওয়াটাও ভালোবাসারই একরকম রূপ। রবীন্দ্রনাথ কেবল একটা উপন্যাস লেখেননি, তিনি একটা অনুভূতি লিখে ফেলেছেন।’
পাঠচক্রে উপস্থিত ছিলেন সভাপতি তুষার চন্দ্র, সাধারণ সম্পাদক নিগম সেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খালিদ হাসান ও আশিক মাহমুদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক সিনথিয়া আক্তার, সহসাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ খন্দকার, অর্থ সম্পাদক অভিষেক সরকার, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান, মুক্তিযুদ্ধ ও গবেষণা সম্পাদক সজিব হাসান, কার্যনির্বাহী সদস্য আবদুল কাদের, বন্ধু রায়হান চৌধুরী, স্বর্ণা আক্তার, ইতি খাতুন, তানজিন আকসা, রাইসা রাসনিম, আয়েশা সিদ্দিকা, তানজিদ আলিম, নিশাত তাসনিম, সাহারিয়ার সরকার, মোন্তাছির আহমেদ, নাঈম হাসান, মো. হাবিবসহ অন্যরা।
সভাপতি, পুণ্ড্র ইউনিভার্সিটি বন্ধুসভা