সাহিত্যের ভাষায় ইতিহাসের গভীর ক্ষতচিহ্ন ‘দেয়াল’

সোনারগাঁও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভার পাঠচক্রের আসরে বন্ধুরাছবি: বন্ধুসভা

হুমায়ূন আহমেদের লেখা উপন্যাস ‘দেয়াল’ নিয়ে পাঠচক্রের আসর করেছে সোনারগাঁও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভা। ৯ জুলাই বেলা দুইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রিন রোড ক্যাম্পাসে এটি অনুষ্ঠিত হয়।

পাঠচক্রে মূল আলোচনা করেন আহ্বায়ক শাহরিয়া আহমেদ। তিনি বলেন, ‘দেয়াল’ কেবল একটি উপন্যাস নয়, এটি ইতিহাসের গভীর ক্ষতচিহ্নকে সাহিত্যের ভাষায় অনুভব করার একটি প্রচেষ্টা। হুমায়ূন আহমেদ উপন্যাসের বিভিন্ন চরিত্র ও ঘটনাপ্রবাহের ভেতর দিয়ে তুলে ধরেন বাংলাদেশের এক গুমোট সময়, যেখানে একদিকে ১৬ বছরের মেয়ে অবন্তির মনোজগৎ, অন্যদিকে ১৯৭৫–এর ১৫ আগস্ট, জেলহত্যা ও কর্নেল তাহেরের ফাঁসির মতো কালো অধ্যায়।

উপন্যাসের কাহিনি শুরু হয় একটি সাধারণ দিন দিয়ে, কিন্তু পাঠক ধীরে ধীরে প্রবেশ করে বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকট আর নিষ্ঠুর বাস্তবতার ভেতরে। লেখক শুরুতেই জানিয়ে দেন, ‘এটি ইতিহাস নয়, উপন্যাস’; তবু যে কেউ একে ইতিহাস পাঠ হিসেবেই নিতে বাধ্য হয়।

বন্ধুদের আলোচনায় উঠে আসে লেখক হুমায়ূন আহমেদের সাহসিকতা। বঙ্গবন্ধু হত্যা, খন্দকার মোশতাকের ভূমিকা, জিয়াউর রহমানের উত্থান, কর্নেল তাহেরের বিচার—সবই লেখক সহজ অথচ প্রগাঢ়ভাবে তুলে ধরেছেন। উপন্যাসটি যেন ইতিহাসের মুখে সাহসের বাতি ধরে রাখে।

পাঠ শেষে বন্ধুদের অনুভূতিতে ছিল বিস্ময়, কষ্ট ও শোক। বন্ধু মারজিয়া অনন্যা বলেন, ‘একটা সময় মনে হচ্ছিল আমরা উপন্যাস নয়, ইতিহাসের ভেতরেই বসে আছি।’

বন্ধু ইশতিয়াক আহমেদ, রবিউল ইসলাম, সাফা আক্তারসহ অন্য সদস্যরা গল্পের চরিত্র ও ঘটনাগুলো নিয়ে মতামত প্রকাশ করেন।

আহ্বায়ক, সোনারগাঁও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভা