ঠাকুরগাঁও বন্ধুসভার পাঠচক্রে ‘ডোং ডোং’

পাঠচক্র শেষে ঠাকুরগাঁও বন্ধুসভার বন্ধুরাছবি: বন্ধুসভা

ডোং ডোং ঠাকুরগাঁও জেলার একটি আঞ্চলিক শব্দ। আভিধানিক অর্থ খালি বা ফাঁকা। যখন কোনো কাজের অক্লান্ত পরিশ্রম শেষে ফলাফল শূন্য হয়, তখন প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষেরা ডোং ডোং বলে মনের ভাব প্রকাশ করেন।

‘ডোং ডোং’ একটি বইয়ের নামও। লেখক ঠাকুরগাঁও বন্ধুসভার বন্ধু এম আল মামুন। ২ ফেব্রুয়ারি বইটি নিয়ে পাঠচক্রের আসর করেছে ঠাকুরগাঁও বন্ধুসভা। বিকেলে সদর উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে এটি অনুষ্ঠিত হয়।

ডোং ডোং ঠাকুরগাঁও জেলার প্রত্যন্ত গ্রামের স্থানীয় ভাষা নিয়ে লেখা একটি মজার বই। বইটি পড়লে অঞ্চলটির সব মানুষ অধিক আনন্দ পাবে এবং শৈশবের স্মৃতিতে ফিরে যাবে। বইয়ের কয়েকটি লাইন এ রকম, ‘এ বন্ধু কেদুর গেল রে? আইকজা ইশকুল (স্কুল) যাবোনি রে? না গেলে তো ষ্যাড় তোক মারে হেনে পিঠিখান ডোং ডোং করে দিবে রে।’ অর্থ দাঁড়ায়, এক বন্ধু আরেক বন্ধুকে স্কুলে যাওয়ার জন্য জিজ্ঞাসা করছে। সে যদি স্কুল না গিয়ে থাকে, তাহলে শিক্ষক তাকে পিঠে মেরে লাল করে দেবে।

পাঠচক্রে উপস্থিত ছিলেন সহসভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শিহাব, বন্ধু নজরুল ইসলাম, ইমন, রিম, নাফিয়া, ঐশ্বী, মোস্তাকিম, আইভি, মারজানাসহ অন্য বন্ধুরা।

পাঠচক্র শেষে বন্ধুরা মিলে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সারা দেশে একযোগে আয়োজিত পিঠা উৎসব প্রদর্শন করেন।

সাধারণ সম্পাদক, ঠাকুরগাঁও বন্ধুসভা