‘ইসরায়েল-ফিলিস্তিন: যুদ্ধ ও গণহত্যা’ বিষয়ে পাঠচক্র

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভার পাঠচক্রছবি: বন্ধুসভা

বিশ্বের বৃহত্তম উন্মুক্ত কারাগার বলে খ্যাত ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় চলছে ইসরায়েলি আগ্রাসনের নির্বিচার গণহত্যা। মানবাধিকারের কথা বলে মুখে ফেনা তুলে ফেলা শক্তিধর পশ্চিমা দেশগুলো নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে! জাতিসংঘের গণহত্যা বন্ধের আহ্বানকে তুড়ি মেড়ে উড়িয়ে দিয়ে ১০০ দিনের বেশি সময় ধরে গণহত্যা চালু রেখেছে ইসরায়েল। তাহলে মানবাধিকারের কথা বলা আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো কী করছে? তাদের কাজই বা কী? নাকি গাজায় এসে মৃত্যু হয়েছে এসব আন্তর্জাতিক সংস্থার!

ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক অ্যানার্জি এজেন্সির ইমেরিটাস মহাপরিচালক মোহাম্মাদ আল বারাদির সুরে সুর মিলিয়ে এসব প্রশ্ন তুলেছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভার বন্ধুরা। ২২ জানুয়ারি ‘ইসরায়েল-ফিলিস্তিন: যুদ্ধ ও গণহত্যা’ শিরোনামে আয়োজিত পাঠচক্র ও আলোচনা সভায় বন্ধুরা এসব প্রশ্ন তোলেন। অনলাইন প্ল্যাটফর্ম জুম অ্যাপে এটি অনুষ্ঠিত হয়।

১৮ জানুয়ারি প্রথম আলোয় প্রকাশিত মিসরের সাবেক উপরাষ্ট্রপতি, নোবেল লরিয়েট, মোহাম্মাদ আল বারাদির লেখা ‘গাজায় যেভাবে আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার মৃত্যু ঘটেছে’ (অনূদিত) কলামটি এই পাঠচক্রের জন্য নির্ধারিত ছিল। বন্ধুরা এ কলামকে কেন্দ্র করে ‘গাজায় কীভাবে আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার মৃত্যু ঘটেছে’ বিষয়ে নিজেদের মতামত ব্যক্ত করেন।

শুরুতেই ইসরায়েল-ফিলিস্তিন প্রেক্ষাপট বর্ণনা করে সাধারণ সম্পাদক নাহিন সুলতানা বলেন, ‘ইসরায়েলকে আমরা কোনো রাষ্ট্রই বলব না। কারণ, বাংলাদেশ ইসরায়েলকে রাষ্ট্র হিসেবে কখনো স্বীকৃতি দেয়নি।’

সভাপতি আবু রায়হান বলেন, ‘আমরা হচ্ছি অলস জাতি। আমরা বলতে মুসলিম রাষ্ট্রগুলো। আমাদের কিছু প্রাকৃতিক সম্পদ আছে এবং এ নিয়েই সবাই বসে আছি। কিন্তু আজ আমরা যে আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার সমালোচনা করছি, এই পুরো আন্তর্জাতিক ব্যবস্থাই পশ্চিমাদের তৈরি। তারা ব্যবসা-বাণিজ্য ও মেধা খাটিয়ে পুরো ব্যবস্থাই নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছে। ফলে এ নিয়ে প্রশ্ন করার কেউ নেই।’

আলোচনায় সঞ্চালক নকীবুল হকের সম্পূরক প্রশ্নে উঠে এসেছে বাংলাদেশের রোহিঙ্গা ইস্যুও। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশও ভবিষ্যতে ফিলিস্তিনের মতো ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারে কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে সবাই শঙ্কা প্রকাশ করেন। সাংগঠনিক সম্পাদক সৌরভ খান মনে করেন, মাদকে সয়লাব হয়ে যাওয়ায় রোহিঙ্গারাও অনেকটা দায়ী। সাবেক সাধারণ সম্পাদক রেদওয়ানুল আলম ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক নাহিন সুলতানা মাদকের ব্যাপারে রোহিঙ্গাদের নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন।

প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী এই অনলাইন পাঠচক্র ও আলোচনা সভা দারুণ উপভোগ করেছেন সবাই।

পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক, নোবিপ্রবি বন্ধুসভা