বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম আলোর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন
‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নিয়ে কোমলমতি শিশুদের ভাবনা’ শিরোনামে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, পুরস্কার বিতরণ, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে প্রথম আলোর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন করেছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভা। ৮ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের কীর্তনখোলা হলে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
স্বাগত বক্তব্যে বন্ধুসভার বন্ধু শিহাব উদ্দিন বলেন, ‘প্রথম আলো ২৬ বছর ধরে সব রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে সত্যে তথ্যে স্বমহিমায় দ্যুতি ছড়াচ্ছে, যা একটি দারুণ মাইলফলক।’
প্রথম আলোর বরিশালের নিজস্ব প্রতিবেদক জসীম উদ্দিন বলেন, ‘ছাপা কাগজে প্রথম আলোর পাঠকসংখ্যা দেশের শীর্ষ স্থান দখল করে থাকার মূল কারণ হলো— প্রথম আলো কোনো সময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে কলমের আওয়াজকে দমতে দেয় না। সব শ্রেণির মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে নির্ভরযোগ্য তথ্য প্রকাশে অবিচল থাকে।’
সম্প্রতি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান শিক্ষার্থী মাইশা। তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করে বন্ধু জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘সব ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জাগরণ অপরিহার্য। আর কোনো তাজা প্রাণ যাতে সড়ক দুর্ঘটনায় ঝরে না যায়, এই প্রত্যাশা নতুন বাংলাদেশের কাছে। বাংলাদেশের মানুষ নিরাপদ সড়ক চায়।’
‘প্রভাতের সূর্যোদয়ের প্রথম কিরণ যেমন অন্ধকারকে মুছে দেয়, তেমনই প্রথম আলো সমাজের তলানি থেকে সত্য তথ্য মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়ে অসত্যকে মুছে দেয়।’নাবিলা জান্নাত
বন্ধু হাসিবুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশের জাগরণকে জাগিয়ে রাখতে এবং নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমাদের যার যার জায়গা থেকে কাজ করে যেতে হবে। তবেই আমরা সুন্দর একটি বাংলাদেশ গড়তে সক্ষম হব।’
সমাপনী বক্তব্যে বন্ধুসভার সভাপতি নাবিলা জান্নাত বলেন, ‘প্রভাতের সূর্যোদয়ের প্রথম কিরণ যেমন অন্ধকারকে মুছে দেয়, তেমনই প্রথম আলো সমাজের তলানি থেকে সত্য তথ্য মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়ে অসত্যকে মুছে দেয়।’
এর আগে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় ৫ নভেম্বর, অগ্রযাত্রা কিন্ডারগার্টেন। আলোচনা পর্ব শেষে প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হয়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বন্ধু উপমা দত্ত।
বন্ধু, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভা