হুমায়ূন আহমেদ রচিত ‘হিমুর হাতে কয়েকটি নীলপদ্ম’ উপন্যাস নিয়ে পাঠচক্রের আসর করেছে মুরারিচাঁদ কলেজ বন্ধুসভা। ২৫ অক্টোবর বিকেলে সিলেট রেলস্টেশনের পুরোনো প্ল্যাটফর্মে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
বন্ধুদের আলোচনায় উপন্যাসের চরিত্র আসাদুল্লাহ সাহেবের ‘নীলপদ্ম থিউরি’ মানুষের অন্তর্নিহিত মহত্ত্বের প্রতীক, যেখানে হিমুর বাবা তাঁর ছেলেকে একজন মহাপুরুষ হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন।
হুমায়ূন আহমেদের ‘হিমুর হাতে কয়েকটি নীলপদ্ম’ উপন্যাসটি মূলত মানুষ, বিশ্বাস ও আত্মজিজ্ঞাসার গল্প। এখানে হিমুর দৃষ্টিতে আমরা দেখি, জীবনের প্রতি এক অদ্ভুত, কিন্তু গভীর দর্শন। যেখানে বাস্তবতার বাইরে গিয়ে আধ্যাত্মিক সৌন্দর্যের খোঁজ পাওয়া যায়।
বইটিতে লেখক দেখিয়েছেন, মানুষের মধ্যেই লুকিয়ে আছে ঈশ্বরীয় গুণ, যা জাগিয়ে তুললেই মানসিক শান্তি ও প্রজ্ঞা আসে। আসাদুল্লাহ সাহেবের ‘নীলপদ্ম থিউরি’ সেই মহত্ত্বেরই প্রতীক। হিমু চরিত্রে প্রকাশ পেয়েছে এক নির্লিপ্ত অথচ জীবন্ত মানবদর্শন, যা আজও পাঠককে ভাবায়।
পাঠচক্র শেষে দুই বন্ধুর হাতে বন্ধুসভার গঠনতন্ত্র উপহার হিসেবে তুলে দেওয়া হয়। গঠনতন্ত্রটি তুলে দেন বৃক্ষবন্ধু শাহ সিকান্দার শাকির। প্ল্যাটফর্মে সন্ধ্যার আলোছায়ায় বইপ্রেমী তরুণদের এমন আয়োজনে ভরে ওঠে এক অন্য রকম সাহিত্যিক বিকেল।
পাঠচক্রে উপস্থিত ছিলেন মুরারিচাঁদ কলেজ বন্ধুসভার সাবেক সাধারণ সম্পাদক রুহেল আহমেদ, বন্ধু মেহেদী হাসান, লিমা তালুকদার, উদয় সরকার, আবু সাইদ জাবের, শারমিন লিপি, তরিকুল ইসলাম, অনুপ দাস, প্রজ্ঞা তালুকদার, সৈয়দা তামান্না, হৃত্তিক চক্রবর্তী, পিনা ইসলাম, তৃণা তালুকদার, অমল দাসসহ আরও অনেকে।
সভাপতি, মুরারিচাঁদ কলেজ বন্ধুসভা