সহশিক্ষা ও স্বেচ্ছাসেবায় অংশগ্রহণকারীরা কর্মক্ষেত্রে বেশি সফল

‘কর্মক্ষেত্রে সহশিক্ষা কার্যক্রম এবং স্বেচ্ছাসেবার গুরুত্ব’ শীর্ষক মূল আলোচনা উপস্থাপন করেন ঢাকা মহানগর বন্ধুসভার সাধারণ সম্পাদক হাসান মাহমুদ সম্রাটছবি: বন্ধুসভা

‘শুধু বই নয়, বাস্তব জীবনের শিক্ষা নিতে হবে চারপাশের পরিবেশ থেকে। একটি সুন্দর পৃথিবীতে মানুষ গড়ে ওঠে নেতৃত্ব, দায়িত্ব আর সহযোগিতার মাধ্যমে। ভবিষ্যতের তরুণদের কর্মজীবনের জন্য দলগত কাজে নেতৃত্ব ও যোগাযোগে দক্ষ করে তুলতে হবে।’

এসওএস হারম্যান মেইনার কলেজে অনুষ্ঠিত ‘তারুণ্যের পৃথিবী’–এর ষষ্ঠ পর্বে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে কথাগুলো বলেন প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ রাফিয়া আক্তার। তরুণদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও সচেতনতা তৈরিতে গত ৩০ অক্টোবর স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ও প্রথম আলোর যৌথ উদ্যোগে এটি অনুষ্ঠিত হয়।

প্রথম আলো ও স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে কলেজের শিক্ষক সায়মা নওরীন বলেন, ‘আমাদের প্রতিষ্ঠানে এমন অনুষ্ঠান আয়োজন করতে পেরে আমরা আনন্দিত। শিক্ষার্থীরা এই আয়োজন থেকে ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা পেয়েছে।’

এসওএস হারম্যান মেইনার কলেজে অনুষ্ঠিত হয় ‘তারুণ্যের পৃথিবী’–এর ষষ্ঠ পর্ব
ছবি: বন্ধুসভা

অনুষ্ঠানে ‘কর্মক্ষেত্রে সহশিক্ষা কার্যক্রম এবং স্বেচ্ছাসেবার গুরুত্ব’ শীর্ষক মূল আলোচনা উপস্থাপন করেন ঢাকা মহানগর বন্ধুসভার সাধারণ সম্পাদক হাসান মাহমুদ সম্রাট। তিনি বলেন, সহশিক্ষা কার্যক্রম শুধু শিক্ষার অংশ নয়, এটি কর্মক্ষেত্রের নৈতিকতা ও টিমওয়ার্ক শেখার অনুশীলন করায়। সহশিক্ষা ও স্বেচ্ছাসেবায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা চাকরির বাজারে বেশি সফল। বই থেকে যতটা শেখা যায়, মানুষের সঙ্গে কাজ করে শেখা যায় তার চেয়ে বেশি, এটাই সহশিক্ষার মূল শক্তি।

হাসান মাহমুদ সম্রাট আরও বলেন, করপোরেট দুনিয়ায় বর্তমানে সবচেয়ে বেশি দরকার মানবিক পেশাজীবী। আর সেই গুণ গড়ে ওঠে স্বেচ্ছাসেবার মাধ্যমে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের প্রভাষক শাকিরা রশীদ ও শিক্ষার্থী প্রতিনিধি রিতম দত্ত। আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ নিজাম উদ্দীন।

আলোচনার শেষে কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী পাঁচ শিক্ষার্থীর হাতে প্রথমা প্রকাশনের বই তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভার সদস্য আফিয়া ইবনাত শুচী।