তারাপদ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোটগল্প ‘অতিথি’–এর প্রধান চরিত্র। সে আর পাঁচটা সাধারণ ছেলের মতো নয়। কোনো কাজ তার কাছে এলে, সে সেটার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ে। তার দৃষ্টি, হাত ও মন সব সময় সচল হয়ে থাকে। লেখকের ভাষায়, ‘তারাপদ নিত্য সচলা প্রকৃতির মতো সর্বদাই নিশ্চিন্ত উদাসীন, অথচ সর্বদাই নিরাসক্ত।’
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভার বছরের প্রথম পাঠচক্রের নির্ধারিত বিষয় ছিল—বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ছোটগল্প ‘অতিথি’। গতকাল শনিবার বিকেল চারটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক রায়হান হোসেনের সঞ্চালনায় শুরুতেই বন্ধুরা ‘অতিথি’ গল্পের বিষয়বস্তু নিজেদের ভাষায় উপস্থাপন করেন। মানুষ মাত্রই নিজেদের একটি স্বতন্ত্র অধিষ্ঠানভূমি আছে। কিন্তু তারাপদ এই অনন্ত নীলাম্বরবাহী বিশ্বপ্রবাহের একটি আনন্দোজ্জ্বল তরঙ্গ। ভূত-ভবিষ্যতের সহিত তাহার কোনো সম্বন্ধ নাই। সম্মুখাভিমুখে চলিয়া যাওয়াই তাহার একমাত্র কার্য।
পাঠচক্রে সেরা পাঠক হিসেবে তিনজনকে পুরস্কৃত করা হয়। তাঁরা হলেন আয়েশা সিদ্দিকা, শফিকুল ইসলাম ও তুহিনূজ্জামান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভার সভাপতি শাহাবুদ্দীন আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু সাহাদাৎ, অর্থ সম্পাদক রহিমা সিদ্দিকী, স্বাস্থ্য ও ক্রীড়া সম্পাদক আল আমীন, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক মাজিদুল ইসলাম, কার্যনির্বাহী সদস্য তহুরা খাতুন ও ফরহাদ হোসেন প্রমুখ।
সাংগঠনিক সম্পাদক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভা