মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাপ্রবাহ ও জীবনসংগ্রামের চিত্র ‘জোছনা ও জননীর গল্প’

পাঠচক্র শেষে জাবি বন্ধুসভার বন্ধুরাছবি: বন্ধুসভা

কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস ‘জোছনা ও জননীর গল্প’ নিয়ে পাঠের আসর করেছে জাবি বন্ধুসভা। ২৯ অক্টোবর সন্ধ্যার স্নিগ্ধ বাতাসে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে এটি অনুষ্ঠিত হয়।

উপন্যাসটিতে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের নানা ঘটনাপ্রবাহ, বেদনাদায়ক মুহূর্ত ও সাধারণ মানুষের জীবনসংগ্রামের চিত্র তুলে ধরেছেন লেখক। এটি শুধু সাহিত্য নয়, বরং একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক দলিল।

আলোচনার শুরুতে সভাপতি সুমাইয়া জামান বলেন, ‘উপন্যাসটি আমাদের জাতীয় ইতিহাসের এক অনন্য অধ্যায়কে হৃদয়স্পর্শীভাবে উপস্থাপন করে। এটি শুধু একটি গল্প নয়, বরং আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বীরত্ব, ত্যাগ ও সংগ্রামের প্রতিচ্ছবি। হুমায়ূন আহমেদের লেখার মাধ্যমে তরুণ প্রজন্ম আমাদের স্বাধীনতাসংগ্রামের গল্প জানতে পারে। যা তাদের দেশের প্রতি আরও শ্রদ্ধাশীল ও সচেতন করে তুলবে।’

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাফিসা তাবাসসুম উপন্যাসের চরিত্র বিশ্লেষণে বলেন, ‘এই উপন্যাসে হুমায়ূন আহমেদ যুদ্ধের ভয়াবহতা, জীবনের অনিশ্চয়তা এবং মানুষের আবেগকে চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। বিশেষ করে প্রধান চরিত্রগুলোর মধ্যে দেশের প্রতি ভালোবাসা ও ত্যাগের মানসিকতা নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে।’

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মৃদুল পাল বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাগুলো আমাদের মনে চিরস্থায়ী দাগ কেটে যায়। এ ধরনের সাহিত্যকর্ম নতুন প্রজন্মকে দেশের জন্য কিছু করার প্রেরণা দেয়।’

পাঠচক্রে আরও উঠে আসে মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে লেখকের লেখনীর বিশেষ দিকগুলো। অনেকেই মন্তব্য করেন, উপন্যাসটি পড়ার মাধ্যমে পাঠকেরা মুক্তিযুদ্ধের কষ্ট, ত্যাগ ও স্বাধীনতার মূল্য বোঝার সুযোগ পান। উপস্থিত সবাই মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনা ও আদর্শ নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেন।

উপস্থিত ছিলেন অর্থ সম্পাদক মেহেরাব রাফিদ, প্রচার সম্পাদক রেজনান চৌধুরী, বন্ধু মঈন খান, আনোয়ার রুদ্র, অরিত্র গুহ, মারিয়া মুরাদ, অরূপা রহমান, তাসনিয়া ধ্রুতি ও ইরফান আমিন।

সভাপতি, জাবি বন্ধুসভা