প্রতীক্ষা ও ভালোবাসার উপাখ্যান হুমায়ূন আহমেদের ‘অপেক্ষা’

হুমায়ূন আহমেদের ‘অপেক্ষা’।

হুমায়ূন আহমেদ বাংলা সাহিত্যের এক অনন্য জাদুকর; যিনি উপন্যাস, গল্প, নাটক ও সিনেমা, সব ক্ষেত্রেই সমান দক্ষতায় পাঠক ও দর্শকের হৃদয় জয় করেছেন। সহজ–সরল ভাষা, বাস্তব চরিত্র, গভীর আবেগ ও অনন্য হাস্যরস তাঁর লেখার প্রধান বৈশিষ্ট্য। তিনি হিমু, মিসির আলি, শুভ্র—এমন বহু জনপ্রিয় চরিত্র সৃষ্টি করেছেন, যা বাংলা সাহিত্যকে দিয়েছে নতুন রং।

হুমায়ূন আহমেদের ‘অপেক্ষা’ একটি হৃদয়স্পর্শী উপন্যাস; যেখানে ভালোবাসা, প্রতীক্ষা ও অনিশ্চয়তার সূক্ষ্ম টানাপোড়েন খুবই সহজ অথচ গভীরভাবে ফুটে উঠেছে। গল্পের চরিত্ররা যেমন বাস্তব, তেমনি তাদের অনুভূতিগুলোও আমাদের আশপাশের মানুষের মতোই স্পষ্ট, এটাই হুমায়ূন আহমেদের লেখার সবচেয়ে বড় ক্ষমতা। সংলাপ, হাস্যরস ও আবেগ তিনি এমনভাবে মিশিয়েছেন যে উপন্যাসটি একবার শুরু করলে শেষ না করে রাখা কঠিন।

মুরারিচাঁদ কলেজ বন্ধুসভার পাঠচক্রের আসর
ছবি: বন্ধুসভা

উপন্যাসটির মূল সুর হলো অপেক্ষা—কারও জন্য, কোনো ঘটনার জন্য অথবা জীবনের পরিবর্তনের জন্য। এই অপেক্ষা কখনো মধুর, কখনো বেদনাদায়ক, তবু মানুষের জীবনে অপরিহার্য। লেখক খুবই সুন্দরভাবে দেখিয়েছেন যে অপেক্ষা আসলে ভালোবাসারই আরেক রূপ।

‘অপেক্ষা’ উপন্যাসটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৯৭ সালে আফসার ব্রাদার্স প্রকাশনী থেকে। উপন্যাসটি নিয়ে পাঠচক্রের আসর করেছে মুরারিচাঁদ কলেজ বন্ধুসভা। ২২ নভেম্বর কলেজের পুকুরপাড়ে এটি অনুষ্ঠিত হয়।

পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক সামিয়া আক্তারের সঞ্চালনায় উপন্যাসটি নিয়ে আলোচনা করেন উপস্থিত বন্ধুরা। পাঠচক্রে উপস্থিত ছিলেন বন্ধু দেবব্রত সরকার, রুবেল ফারহিন, মনোয়ার হোসেন, অম্লান রয়, রাসেল আহমদসহ অন্য বন্ধুরা।

পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক, মুরারিচাঁদ কলেজ বন্ধুসভা