বন্ধুসভার গঠনতন্ত্র হলো বন্ধুসভার সংবিধান। রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্রের সবাইকে যেমন সেই রাষ্ট্রের সংবিধান মেনে চলতে হয়, বন্ধুসভার সদস্য হিসেবে বন্ধুসভার বন্ধুরাও গঠনতন্ত্র মেনে চলেন। গঠনতন্ত্রে বন্ধুসভার পরিচয়, মূলনীতি, নিয়মশৃঙ্খলা, কমিটির দায়িত্ব ও কার্যাবলি এবং বন্ধুদের দায়িত্ব, কর্তব্য ও কার্যাবলি উল্লেখ রয়েছে। বন্ধুসভায় যুক্ত হওয়ার আগে বন্ধুসভার গঠনতন্ত্র পড়ে আসা আবশ্যক।
দেশপ্রেমে নিবেদিত হওয়া, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস, গণতন্ত্রে বিশ্বাস ও অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে বুকে ধারণ করা বন্ধুসভার গঠনতন্ত্রের অন্যতম প্রতিপাদ্য। পাঁচটি অনুচ্ছেদের এই গঠনতন্ত্র অত্যন্ত সুসংগত ও সহজবোধ্য।
প্রথম আলো বন্ধুসভার আদর্শ মেনে চললে একজন বন্ধু হয়ে ওঠেন দক্ষ সাংগঠনিক ও মানবিক ব্যক্তি। সামাজিক ও সাংস্কৃতিক গুণাবলি তাঁর মধ্যে দেখা যায়। তিনি সমাজ তথা দেশের জন্য যেমন কাজ করেন, তেমনি অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতেও কুণ্ঠাবোধ করেন না। নারীদের সম্মান করেন। শিশুদের ভালোবাসেন। নিয়মিত বই পড়েন। পড়ার মধ্যে আনন্দ খুঁজে নেন। তাই বলা যায়, যোগ্য ও দেশপ্রেমিক নাগরিক হয়ে ওঠার অন্যতম প্ল্যাটফর্ম হচ্ছে প্রথম আলো বন্ধুসভা।
২৫ এপ্রিল বিকেলে ‘বন্ধুসভার গঠনতন্ত্র’ নিয়ে পাঠচক্রের আসর করেছে সিলেট বন্ধুসভা। প্রথম আলো সিলেট অফিসের বন্ধুসভার কক্ষে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
সভাপতি দেব রায় সৌমেন বলেন, ‘ব্যক্তিত্বের বিকাশ ও সাংগঠনিক দক্ষতা অর্জনে বন্ধুসভা একটি মাধ্যম। বন্ধুসভার বন্ধুরা সমাজসেবায় কাজ করে। শিক্ষা নিয়ে কাজ করে। বৃক্ষরোপণ করে। নানা দুর্যোগে ভয়ভীতি উপেক্ষা করে মানুষের পাশে দাঁড়ায়। নারীদের সম্মান করে। সব ধরনের অনৈতিক কাজ থেকে বিরত থাকে।’
পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক, সিলেট বন্ধুসভা