তিন পর্বে নোয়াখালী বন্ধুসভার বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি
প্রকৃতিতে সবুজের সমারোহ আর অক্সিজেনের অভাব পূরণ করতে বৃক্ষের বিকল্প নেই। তাই প্রতিবছর সারা দেশের বন্ধুসভাগুলো বৃক্ষের চারা রোপণ করে থাকে। ‘আমার মাটি আমার দায়, গাছ রোপণে বাঁচা যায়’ প্রতিপাদ্যে নোয়াখালী বন্ধুসভা এ বছর দুটি পর্বে এ কর্মসূচি পালন করে।
গত ১৮ আগস্ট নোয়াখালীর মাইজদী হাউজিং এলাকায় প্রথম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। বৃক্ষরোপণের পাশাপাশি স্থানীয় মাইজদী হাউজিং এস্টেট আইডিয়াল স্কুলের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় নিয়ে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালান বন্ধুরা। এ পর্বে নোয়াখালী বন্ধুসভা নিজেদের অর্থায়নে ২৫০টি গাছের চারা রোপণ ও বিতরণ করে।
পরে নোয়াখালীসহ ফেনী, কুমিল্লা বন্যাকবলিত হওয়ায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অনেক দিন স্থগিত রাখা হয়। বন্ধুরা বন্যার কাজে টানা দেড় মাস ব্যস্ত থাকেন। এরপর গত ২৬ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর আহমাদিয়া আদর্শ উচ্চবিদ্যালয় ও এর সংলগ্ন এলাকায় কর্মসূচির দ্বিতীয় পর্বের আয়োজন করে। এ পর্বে ব্র্যাক মাইক্রো ফাইন্যান্সের সৌজন্যে ৫০০টি গাছের চারা রোপণ ও বিতরণ করা হয়। পাশাপাশি মাদক, প্লাস্টিক ব্যবহারের অপকারিতা এবং ডেঙ্গু প্রতিরোধের প্রচারণা চালান বন্ধুরা।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে আহমাদিয়া স্কুলের প্রধান শিক্ষক হারুন অর রশিদ বলেন, ‘সব সময় মাদকে “না” বলব এবং মাদক থেকে বিরত থাকব। পরিবেশের বিপর্যয় রোধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করব। বেশি বেশি গাছ পরিচর্যা ও রোপণ করব, যাতে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় থাকে।’
নোয়াখালী বন্ধুসভার উপদেষ্টা সুমন নূর বলেন, ‘প্রকৃতির পরম বন্ধু হলো বৃক্ষ। বৃক্ষ যেমন আমাদের নানাভাবে উপকার করে থাকে, ঠিক তেমনই আমাদেরও বৃক্ষের সঠিক পরিচর্যা ও পশুপাখির আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে হবে। প্রয়োজনে একটি গাছ কাটলে এর পরিবর্তে ১০টি রোপণ করতে হবে।’
এ ছাড়া অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহে বন্ধুরা তৃতীয় ধাপে নোয়াখালীর কৃষ্ণনারায়ণপুর ও লক্ষ্মীনারায়ণপুর এলাকায় ব্র্যাকের সৌজন্যে আরও ২০০টি গাছের চারা রোপণ করেন।
প্রচার সম্পাদক, নোয়াখালী বন্ধুসভা