‘লাল নীল দীপাবলি’ বই নিয়ে বশেমুরবিপ্রবি বন্ধুসভার পাঠচক্র
হুমায়ুন আজাদের ‘লাল নীল দীপাবলি’ বই নিয়ে পাঠের আসর করে বশেমুরবিপ্রবি বন্ধুসভা। ১১ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচক হিসেবে ছিলেন প্রচার সম্পাদক শামীম আহামেদ। তাঁর আলোচনায় উঠে আসে, হাজার বছর আগে আমাদের প্রধান কবি কাহ্নপাদ বলেছিলেন, ‘নগর বাইরে ডোম্বি গোহারি কুড়িআ’। তাঁর মতো কবিতা লিখেছিলেন আরও অনেক কবি। তাঁদের নামগুলো আজ রহস্যের মতো লাগে—কুইপা, কুক্কুরীপা, বিরুআপা, ভুসুকুপা, শবরপার মতো সুদূর রহস্যময় ওই কবিদের নাম। তারপর কেটে গেছে হাজার বছর। জন্ম হয়েছে অজস্র কবি, ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক, নাট্যকার ও গল্পকারের। সবাই মিলে সৃষ্টি করেছেন আমাদের অসাধারণ বাংলা সাহিত্য।
বাংলা সাহিত্য চিরকাল এক রকম থাকেনি। কালে কালে বদল ঘটেছে রূপের, হৃদয়ের। সৃষ্টি হয়েছে নতুন নতুন সৌন্দর্য। মধ্যযুগের কবিরা লিখেছেন পদাবলি, মঙ্গলকাব্য; উনিশ শতকে সাহিত্য হয়ে ওঠে অপরূপ অভিনব। তখন কবিতায় ভরপুর সাহিত্যে দেখা দেয় গদ্য, বাংলা সাহিত্য হয়ে ওঠে ব্যাপক ও বিশ্বসাহিত্য। বিশ শতকের বাংলা সাহিত্যের শোভার কোনো শেষ নেই। এই সময়ের অনেক ইতিহাস লেখা হয়েছে। কবি হুমায়ুন আজাদ বাংলা সাহিত্য নিয়ে লিখেছেন ‘লাল নীল দীপাবলি’ বা বাংলা সাহিত্যের জীবনী। যা শুধু ইতিহাস নয়, এটি নিজেই এক সাহিত্য।
কবি হুমায়ুন আজাদ হাজার বছরের বাংলা সাহিত্যকে তুলে ধরেছেন কবিতার মতো, জ্বেলে দিয়েছেন নানা রঙের দীপাবলি। এ বই কিশোর-কিশোরীদের, তরুণ-তরুণীদের জন্য লেখা। তারা সুখ পেয়ে আসছে এ বই পড়ে। জানতে পারছে সাহিত্যের ইতিহাস; এবং এ বই সুখ দিয়ে আসছে বড়দেরও। ‘লাল নীল দীপাবলি বা বাংলা সাহিত্যের জীবনী’ এমন বই, যার সঙ্গী হতে পারে ছোটরা, বড়রা, যারা ভালোবাসে সাহিত্যকে।
পাঠচক্রে আরও উপস্থিত ছিলেন বশেমুরবিপ্রবি বন্ধুসভার সভাপতি আলাউল হক, সাধারণ সম্পাদক রাতুল ইসলাম, সহসভাপতি সিনথিয়া রাজিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মামুনুর রশিদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সালমান সারওয়ার, প্রচার সম্পাদক শামীম আহামেদ, জেন্ডার ও সমতাবিষয়ক সম্পাদক হোসনেআরা খাতুন, অর্থ সম্পাদক সম্পা খানম, দপ্তর সম্পাদক শাফায়েত উল্ল্যাহ, ম্যাগাজিন সম্পাদক সম্পা খানম, ত্রাণ ও দুর্যোগ সম্পাদক মুহাম্মদ সোহেল, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক রুবেল রানাসহ অন্য বন্ধুরা।
প্রচার সম্পাদক, বশেমুরবিপ্রবি বন্ধুসভা