মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্মবার্ষিকীতে পাঠচক্র

২৫ জানুয়ারি ছিল মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ২০১তম জন্মদিন। এ উপলক্ষে কবির জীবনীগ্রন্থ নিয়ে পাঠচক্রের আসর করেছে সাতক্ষীরা বন্ধুসভা। প্রথম আলো সাতক্ষীরা আঞ্চলিক অফিসে এটি অনুষ্ঠিত হয়।

সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের বিল্যাহর সঞ্চালনায় সুনির্মল বসুর লেখা মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবনীগ্রন্থ নিয়ে আলোচনা করেন বইমেলা সম্পাদক জান্নাত আলম। কবির জীবন, চরিত্র ও সাহিত্যকর্ম নিয়ে আলোচনা করেন সাতক্ষীরা বন্ধুসভার বন্ধু তরুণ লেখক তারিক ইসলাম।

তারিক ইসলাম বলেন, বাংলা সাহিত্যের প্রবাদপুরুষ, বাংলায় অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক, বাংলা সনেট রচয়িতা মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত। তিনি ছিলেন বহু ভাষাবিদ। মাতৃভাষা ছাড়াও তিনি আরও ১৩টি ভাষা জানতেন। শিশুকালে গ্রামের টোল থেকে ফারসি ভাষা শিক্ষার মাধ্যমে তাঁর ভাষা শিক্ষার শুরু। ইংরেজি ছাড়াও ল্যাটিন, গ্রিক, ফারসি, হিব্রু, তেলুগু, তামিল ইত্যাদি ভাষায় অনায়াসে কথা বলতে পারতেন। এমনকি ফারসি ও ইতালীয় ভাষায় কবিতাও লিখতে পারতেন।

‘বহু দেশ দেখিয়াছি বহু নদ-দলে,
কিন্তু এ স্নেহের তৃষ্ণা মিটে কার জলে?
দুগ্ধ-স্রোতোরূপী তুমি জন্মভূমি-স্তনে।’

কি অপূর্ব শব্দ চয়ন! কৈশোরে পড়া কপোতাক্ষ নদ কবিতা পড়ে যে মুগ্ধতা জন্মেছিল, তা আজও অক্ষয় হয়ে আছে স্মৃতিতে। কবির প্রতি ভালোবাসা জমে যায় যখন দেখি ‘বঙ্গভাষা’ নামক কবিতায় মধুকবি লিখেছেন: ‘হে বঙ্গ, ভাণ্ডারে তব বিবিধ রতন।’

পাঠচক্রে আরও উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা বন্ধুসভার উপদেষ্টা কল্যাণ ব্যানার্জি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোকাররাম বিল্লাহ, দপ্তর সম্পাদক নাঈমুর রহমান, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি সম্পাদক মোহন রায়, দুর্যোগ ও ত্রাণ সম্পাদক নয়ন সানা, বন্ধু হৃদিতা আজাদ, ইফতে জামিল, ইমতে জামিল, সিফাত হোসেনসহ অন্য বন্ধুরা।

সাধারণ সম্পাদক, সাতক্ষীরা বন্ধুসভা