প্রথম আলো তার নীতিতে অবিচল

নীলফামারীতে প্রথম আলোর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপনছবি: প্রথম আলো

প্রথম আলো যে নীতি নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল, ২৬ বছরেও সেই নীতিতে অটুট আছে। এত বাধাবিপত্তিতেও প্রথম আলো তার নীতি থেকে একটুও সরে দাঁড়ায়নি। চাকরিজীবী, শিক্ষার্থী, শ্রমিক—সবার কাছে প্রথম আলো পছন্দনীয় হয়ে উঠেছে শুধু তার নীতির কারণে। শুধু বস্তুনিষ্ঠতাই নয়, সমাজ পরিবর্তনের জন্যও কাজ করে প্রথম আলো। আগামী দিনগুলোতেও প্রথম আলো তার নীতি–আদর্শ অক্ষুণ্ন রাখুক, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

নীলফামারীতে প্রথম আলোর ২৬ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে এ কথাগুলো বলেন আমন্ত্রিত অতিথিরা। ৭ নভেম্বর সকাল ১১টার দিকে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে নীলফামারী বন্ধুসভা।

সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

নীলফামারী বন্ধুসভার সভাপতি রুবি আক্তারের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন নীলফামারী ছমির উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. মেজবাহুল হক, জেলা প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আতিয়ার রহমান, সাধারণ সম্পাদক নূর আলম, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) জেলা প্রতিনিধি ভুবন রায় প্রমুখ।

ছমির উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. মেজবাহুল হক বলেন, ‘যে পত্রিকা সত্যে তথ্যে লেখা প্রকাশ করবে, সে পত্রিকার অগ্রযাত্রা কেউ ঠেকাতে পারবে না। আমি মনে করি, প্রথম আলো সে ধরনের একটি পত্রিকা। এ কারণে প্রথম আলোর জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা অনেক বেশি। কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষ নিয়ে প্রকাশ হওয়া খবর আমরা জনগণ গ্রহণ করি না। সে ক্ষেত্রে প্রথম আলো তার নীতি বজায় রেখেছে। সত্যে তথ্যে প্রথম আলো আরও এগিয়ে যাক, আমাদের দেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাক, এই প্রত্যাশা করি।’

বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার জেলা প্রতিনিধি ভুবন রায় বলেন, ‘শুরু থেকে প্রথম আলোকে দেখছি, ২৬ বছর আগে প্রথম আলো যে নীতি নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে, সেই নীতিতে অবিচল রয়েছে। প্রথম আলোকে নিয়ে আমরা গর্বিত যে এত বাধাবিপত্তির মধ্যেও তারা পরিবর্তন হয়নি। প্রথম আলো আরও এগিয়ে যাবে, এই প্রত্যাশা করি।’

নীলফামারী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নূর আলম বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, প্রথম আলোর বিকল্প কেউ তৈরি হয়নি। প্রথম আলোর শুরুটা যেভাবে হয়েছে, নানা চড়াই-উতরাই, ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে তারা তাদের অবস্থান ধরে রেখেছে। আশা করব, পাঠক যা চায়, প্রথম আলো সেই চাহিদা পূরণ করবে।’

প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আতিয়ার রহমান বলেন, ‘মানুষ কিন্তু আবেগে পত্রিকা পড়ে না। মানুষ পয়সা দিয়েই যদি পত্রিকা কিনবে, তাহলে তার জ্ঞান অর্জন কতটুকু হচ্ছে, বর্তমান পৃথিবীর সমসাময়িক সত্য খবর কতটুকু পাচ্ছে, কতটুকু নিরপেক্ষ খবর পাচ্ছে, সে বিষয়ে যাচাই করেই পত্রিকা পড়বে। এ ক্ষেত্রে প্রথম আলো বিশেষ ভূমিকা পালন করে আসছে। প্রথম আলোর কিছু বিষয় আমাকে অনেক আকৃষ্ট করে। প্রথম আলোতে যাঁরা লেখেন তাঁরা অনেক পড়াশোনা করেন। কথার মানদণ্ড ঠিক রেখে কোনো বিষয়কে খতিয়ে লেখেন।’

এর আগে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন প্রথম আলো নীলফামারী প্রতিনিধি মীর মাহমুদুল হাসান ও বন্ধুসভার সহসভাপতি নিপুন রায়। আলোচনা পর্ব শেষে কবিতা আবৃত্তি করেন বন্ধুসভার বন্ধু সুধির রায়, সুভাষ ঋষি। সংগীত পরিবেশন করেন বন্ধু তপন রায়।