স্বপ্ন দেখতাম এই প্রতিষ্ঠানের অংশ হওয়ার

শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা
ছবি: প্রথম আলো

দুই দশকের বেশি সময় ধরে প্রথম আলো পত্রিকার পাঠক মাগুরা শহরের সৈয়দ আতর আলী সড়কের বাসিন্দা ফয়সাল পারভেজ। স্কুলজীবনে নিয়মিত পড়েছেন এই পত্রিকা। একসময় কাজ করেছেন বন্ধুসভার সঙ্গেও। গতকাল শুক্রবার প্রথম আলোর ২৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শিশুদের নিয়ে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে মেয়েকে নিয়ে এসেছিলেন তিনি।

পেশায় সাংবাদিক এই অভিভাবক বলেন, ‘সেই কিশোর বয়স থেকে প্রথম আলোর সঙ্গে পরিচয়। এটা দেশের অন্যান্য গণমাধ্যম থেকে বেশ কিছু দিকেই আলাদা। নতুনের প্রতি প্রথম আলোর ঝোঁক দেখেছি। এখন এই চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার মতো আয়োজন ছাড়া গণিত অলিম্পিয়াড, কিশোর আলো, বন্ধুসভার মতো উদ্যোগ প্রথম আলোকে অন্য এক উচ্চতায় নিয়ে গেছে। যেখানে তাদের ধারেকাছেও কেউ নেই। আসলে প্রথম আলো এখন সংবাদ পরিবেশন ছাড়া অনেক দায়িত্বও পালন করে।’

মাগুরা বন্ধুসভার আয়োজনে প্রথম আলোর ২৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান
ছবি: প্রথম আলো

প্রথম আলোর ২৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বন্ধুসভার বন্ধুদের সহযোগিতায় শিশুদের নিয়ে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পাশাপাশি আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এসব অনুষ্ঠানে এসে প্রথম আলো সম্পর্কে এমন নানা রকম মন্তব্য করেন পাঠক ও বিশিষ্টজনেরা। শুক্রবার সকালে মাগুরা শহরের সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের শহীদ মিনার চত্বরে অনুষ্ঠিত হয় চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। সেখানে জেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ৩০ শিক্ষার্থী অংশ নেন। এ সময় শহীদ মিনার চত্বরে আনন্দঘন পরিবেশ তৈরি হয়। সংবাদ পরিবেশনের পাশাপাশি শিশু–কিশোরদের নিয়ে প্রথম আলোর বিভিন্ন উদ্যোগের প্রশংসা করেন অভিভাবকেরা। চিত্রশিল্পী আশিস রায় বলেন, ‘প্রথম আলোর রস আলো, আলপিনের মতো ম্যাগাজিন আমাকে চরমভাবে আকর্ষণ করে। স্বপ্ন দেখতাম এই প্রতিষ্ঠানের অংশ হওয়ার।’

বিকেলে শহরের সৈয়দ আতর আলী গণগ্রন্থাগার চত্বরে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন মাগুরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ খান, মাগুরা সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান আবু সাঈদ মোল্লা ও প্রথম আলোর প্রতিনিধি কাজী আশিক রহমান। আবু সাঈদ মোল্লা বলেন, ‘যেকোনো খবর বা তথ্য নিয়ে যখন মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়, তখন আমরা প্রথম আলো দেখি যে তারা কী লিখল। শুরু থেকেই তারা নিরপেক্ষভাবে পাঠকের চাহিদা পূরণের চেষ্টা করছে।’

শামীম আহমেদ খান বলেন, প্রথম আলো বাংলাদেশের গণমাধ্যম জগতে একটা মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। শুরু থেকেই তারা নিরপেক্ষতা ও সাহসিকতার সঙ্গে সংবাদ পরিবেশন করে আসছে। তারা যে শুধু নিজেরাই এগিয়েছে তা নয়, তাদের সঙ্গে দেশের গণমাধ্যমও এগিয়েছে।

আলোচনা সভা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এ সময় মাগুরা বন্ধুসভার সভাপতি শাহরিয়ার শুভ্র, সাধারণ সম্পাদক সোহেল সিদ্দিকী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিনারুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক সাবিহা মাহাবুব, বিপ্লব জামান, কাজল ইসলাম, বরকত রায়হান, মোহাম্মদ অনিক, রোজানা রিয়াসহ বন্ধুসভার অন্য বন্ধুরা উপস্থিত ছিলেন।