বাবা কথাটি বলতেই গলা ভারী হয়ে আসে। মা যদি পেটে বয়ে থাকেন, বাবা পিঠে। বাবাকে বুঝতে হলে হয় বাবা হতে হবে, আর না হয় হতে হবে একজন পরিপক্ক মানুষ। অনুষ্ঠানের সঞ্চালক নুরুজ্জামান খান শুরুতেই এভাবে বাবা নিয়ে কথা শুরু করেন।
বিশ্ব বাবা দিবস উপলক্ষে গত ১৫ জুন এক ভার্চ্যুয়াল অনুষ্ঠান করে চট্টগ্রাম বন্ধুসভা। ‘বাবা: নীরব ছায়ার গল্প’ শিরোনামের এই অনুষ্ঠানে বন্ধুরা তাঁদের বাবাকে নিয়ে অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
উপদেষ্টা সঞ্জয় বিশ্বাস বলেন, ‘আগামী ২০ থেকে ২৫ বছর পরে ৬০ বছর বা তার চেয়ে বেশি বছর বয়সী মানুষের সংখ্যা বেড়ে যাবে। কোনো সন্তান যাতে তার বৃদ্ধ মাতা–পিতাকে বৃদ্ধাশ্রমে না পাঠায়।’
বাবা হলেন বটবৃক্ষের মতো উল্লেখ করে বন্ধু কামরান চৌধুরী বলেন, ‘আমার বাবা আমাকে কখনো তাঁর ইচ্ছা চাপিয়ে দেননি।’ এ সময় বাবাকে নিয়ে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা ‘বাবা’ কবিতাটি আবৃত্তি করেন তিনি।
বন্ধু ইশরাত মিশু বলেন, ‘আমার গান গাওয়ার পেছনে বাবাই ছিলেন পথপ্রদর্শক। যেহেতু বাবা নিজেই একজন শিল্পী, ওনার অনুপ্রেরণাতেই আমার গানের জগতে আসা।’
বাবা নিজের সুখ বিসর্জন দিয়ে সন্তানের জন্য সুখ কিনে আনেন উল্লেখ করে বন্ধু প্রাপ্তি চৌধুরী বলেন, ‘একদিন বাসে ঢাকায় যাচ্ছি, হঠাৎ মাঝপথে গাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। বাধ্য হয়ে লোকাল বাসে উঠতে হয়। আশপাশে অনেক মানুষ, আমার যাতে কোনো অসুবিধা না হয়, সে জন্য বাবা পুরো রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলেন।’ কথামালা শেষে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের গাওয়া ‘আয় খুকু আয়’ গানটি গেয়ে শোনান তিনি।
সাধারণ সম্পাদক, চট্টগ্রাম বন্ধুসভা