‘পাঠে গড়ে তুলি চিন্তা, চিন্তায় বদলাই সমাজ’ স্লোগানে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের উপন্যাস ‘মৃত্যুক্ষুধা’ নিয়ে পাঠচক্র করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভা। ১০ সেপ্টেম্বর বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঁঠালতলায় নবীন শিক্ষার্থীদের নিয়ে এই পাঠচক্রের আসর বসে।
পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক নূর ইলাহী ইমরানের সঞ্চালনায় সাধারণ সম্পাদক নুসরাত জাহান বইটির পটভূমি, কাহিনি ও মূল বার্তা নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা করেন। নুসরাত জাহান বলেন, ‘মৃত্যুক্ষুধা’ কাজী নজরুল ইসলামের (১৮৯৯–১৯৭৬) কালজয়ী উপন্যাস। যেখানে তৎকালীন সমাজের নিম্নশ্রেণির মানুষের অকালমৃত্যু ও ক্ষুধার দহনকে কেন্দ্র করেই লেখক উপন্যাসটির নামকরণ করেন।
সভাপতি শিহাব হিফজু উপন্যাস নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে বলেন, ‘মৃত্যুক্ষুধা’ উপন্যাসটি বিশ্বাস, দর্শন, ধর্ম, রাজনৈতিক ও সামাজিক নানা পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এই উপন্যাসে লেখক মূলত উপস্থাপন করেছেন সমাজের প্রান্তিক মানুষের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যের আর্তচিৎকার, সম্পর্কের অন্তর্দ্বন্দ্ব, অর্থসংকট, ধর্মীয় ভেদাভেদ, প্রেমের মহিমা ও রাজনৈতিক টানাপোড়েন। সমাজের নিম্নশ্রেণির মানুষের জীবনদর্শনই যেন এই উপন্যাসের প্রধান বিষয়বস্তু।
বইটি নিয়ে বন্ধু আশিকুর জামান বলেন, ‘কালজয়ী উপন্যাসটি ১৯৩০ সালে প্রকাশিত হলেও এর নির্মিত চরিত্র ও বর্ণিত ঘটনা আজকের সমাজেও সমান প্রাসঙ্গিক। এখনো আমরা ধর্মকে কেন্দ্র করে একে অপরের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়ি। এই উপন্যাস থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজেদের জীবনে ধর্মকে কেন্দ্র করে বিভাজন সৃষ্টি থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করব।’