‘একজন বেগম রোকেয়া বদলে দিয়েছেন নারীর যাপিত জীবনকে’

দিনাজপুর বন্ধুসভার পাঠচক্রের আসর
ছবি: বন্ধুসভা

নারীরা সমাজের অর্ধেক অংশ। সমাজে পুরুষের পাশাপাশি নারীদের অবদান অনস্বীকার্য। বাংলাদেশে নারীরা বর্তমানে ছড়িয়ে আছে সমাজের প্রতিটি স্তরে। দেশ ও দশের কল্যাণে সমাজের উচ্চ স্থান থেকে শুরু করে খেটে খাওয়া সাধারণ অবস্থানেও তাঁদের অবদান উল্লেখযোগ্য। কিন্তু কে জাগাল নারীদের?

নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার অন্যতম শ্রেষ্ঠ সাহিত্যকীর্তি হিসেবে বিবেচিত ‘অবরোধ-বাসিনী’ গ্রন্থ নিয়ে আয়োজিত হয় দিনাজপুর বন্ধুসভার পাঠের আসর। ১৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ছয়টায় প্রথম আলো দিনাজপুর অফিসে আসরটি অনুষ্ঠিত হয়।

বই পাঠ করছেন এক বন্ধু
ছবি: বন্ধুসভা

১৯৩১ সালে প্রকাশিত হয় অগ্রণী নারীবাদী লেখক বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন রচিত গ্রন্থ ‘অবরোধ-বাসিনী’। নারী জাগরণের আগে তৎকালীন ভারতবর্ষের নারীদের, বিশেষ করে মুসলমান ঘরের নারীদের সমাজের অবরোধ প্রথার জন্য যে অসুবিধায় পড়তে হয়েছিল, তা স্পষ্টভাবে বর্ণনা করা হয়েছে এই গ্রন্থে। ঘটনাগুলো সব বাস্তব জীবন থেকে নেওয়া। এই গ্রন্থের মাধ্যমে বেগম রোকেয়া গল্প আকারে পর্দা প্রথার দরুন নারীদের দুর্ভোগ সবার কাছে উপস্থাপন করেছেন।

দিনাজপুর বন্ধুসভার সভাপতি মুনিরা শাহনাজ চৌধুরী বলেন, ‘একজন বেগম রোকেয়া বদলে দিয়েছেন নারীর যাপিত জীবনকে। আজ আমরা এগিয়ে গিয়েছি। আজ আমরা ভাবতে শিখেছি। নিজের চিন্তাশক্তিকে কাজে লাগাতে শিখেছি। কিন্তু এত বছর পরও...আরও অনেক কিছু বাকি আছে। এখনো দেশজুড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা অনেক নারীর কাছেই শিক্ষার আলো পৌঁছায়নি। ঘুচে যায়নি কুসংস্কার। তাঁদের কাছে এই আলো পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব আমাদের। আমরা যারা আলোর সন্ধান পেয়েছি, তাদের সবার ভেতরেই রয়েছে বেগম রোকেয়ার জ্বালানো সেই প্রদীপ।’

পাঠচক্রে আরও উপস্থিত ছিলেন সহসভাপতি সুব্রত সরকার, দপ্তর সম্পাদক বেলালুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক সুদর্শন চন্দ্র অধিকারী, বন্ধু শুভজিৎ রায়, দীপু রায়, সাবেক তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ইমরান হোসেনসহ অন্য বন্ধুরা।

সাধারণ সম্পাদক, দিনাজপুর বন্ধুসভা