ভৈরবে পিঠা উৎসবে বন্ধুসভার বন্ধুদের আনন্দমুখর অংশগ্রহণ

পিঠা উৎসবে ভৈরব বন্ধুসভার বন্ধুরাছবি: বন্ধুসভা

বাঙালির চিরন্তন ঐতিহ্যের অন্যতম স্বাদ ও সংস্কৃতির প্রতিচ্ছবি পিঠা। সেই ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখতে ‘পিঠা উৎসব উদ্‌যাপন পরিষদ, ভৈরব’ আয়োজন করে এক বর্ণাঢ্য পিঠা উৎসব। ভৈরব বাজারে অবস্থিত কাদির বকস পাইলট মডেল স্কুল প্রাঙ্গণে ৭, ৮ ও ৯ ফেব্রুয়ারি তিন দিনব্যাপী চলে এই উৎসব। ভৈরব বন্ধুসভার বন্ধুরাও উৎসবে অংশগ্রহণ করেন।

উৎসবে ছিল নানা ধরনের সুস্বাদু ও ঐতিহ্যবাহী পিঠার সমারোহ। ‘অঙ্গনা পিঠাঘর’, ‘স্বদেশী খানাপিনা’, ‘জেরিনের পিঠাবাড়ি’, ‘সুবর্ণার শখের পিঠাঘর’, এমন বাহারি নামের স্টলগুলোয় ছিল চন্দ্রপুলি, দুধচিতই, পাটিসাপটা, ভাপা, নারকেলের পাকন, ক্ষীরের পিঠা, তালের পিঠা, মোয়া, মুগপাকনসহ নানা স্বাদের ঐতিহ্যবাহী পিঠা। অনেক স্টলে পিঠা বানানোর লাইভ প্রদর্শনীও ছিল, যা দর্শকদের বিশেষভাবে আকৃষ্ট করেছে।

পিঠার পাশাপাশি উৎসবে ছিল মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। উপস্থিত দর্শকদের মন জয় করে নেয় ভৈরব আইডিয়াল স্কুলের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনা, ব্লু-বার্ড স্কুলের শিক্ষার্থীদের পুতুল নাচের প্রদর্শনী, যেখানে বাঙালির লোকজ ঐতিহ্য ফুটে ওঠে। আয়োজন শেষ হয় খ্যাতনামা পালাকার ইসলাম উদ্দিনের পরিবেশিত পালাগানের মাধ্যমে। লোকগান, বাউল সংগীত ও ঐতিহ্যবাহী ঢোলের তালে তালে উৎসবে প্রাণবন্ত আবহ সৃষ্টি হয়।

বন্ধুরা শুধু পিঠার স্বাদ ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনা উপভোগ করেই থেমে থাকেননি; বরং উৎসবজুড়ে আনন্দমুখর সময় কাটিয়েছেন। তাঁরা পিঠার স্বাদ গ্রহণের পাশাপাশি নিজেদের অভিজ্ঞতা ভিডিও ও ছবির মাধ্যমে ধারণ করেন। এক বন্ধু বলেন, ‘এমন আয়োজন আমাদের ঐতিহ্যের প্রতি ভালোবাসা বাড়িয়ে দেয়। শহরের ব্যস্ত জীবনে পিঠার স্বাদ আর লোকজ পরিবেশনা সত্যিই আমাদের শিকড়ের কথা মনে করিয়ে দেয়।’

সাংস্কৃতিক সম্পাদক, ভৈরব বন্ধুসভা